প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে রেললাইনের পাশে দুই মেয়েকে নিয়ে ছবি তোলাই কাল হলো সাবিনা বেগমের। ট্রেনের হর্ন শুনে দৌড় দেয় ছোট মেয়ে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে কোলে থাকা আরেক মেয়েকে নিয়ে ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি।
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নরসিংদী রেলস্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ির সামনে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় সাবিনার পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিন রাতেই ময়নাতদন্ত শেষে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মুন্সেফেরচর এলাকার জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী সাবিনা বেগম (২৮) ও তার কন্যা শিশু মাইমুনার (৩) মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর আহত অপর শিশু সিনহাকে (৪) নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নরসিংদী বাজারে কেনাকাটা শেষে ৩ ও ৪ বছরের দুই মেয়ে শিশুসন্তানসহ নরসিংদী রেলস্টেশনে আসেন মা সাবিনা বেগম। শিশুদের ঘোরাঘুরি ও খেলা করার একপর্যায়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে রেললাইনের পাশে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ছবি তুলছিলেন মা সাবিনা বেগম।
এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া চট্টগ্রামগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনের হর্নের শব্দ শুনে দৌড় দেয় সিনহা। তাকে বাঁচাতে কোলে থাকা মাইমুনাকে নিয়ে এগিয়ে যান সাবিনা বেগম। এসময় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মা সাবিনা বেগম ও মাইমুনা। গুরুতর আহত হয় অপর সন্তান সিনহা।
স্থানীয়রা আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠান।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, অসচেতনতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারা প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে রেললাইনের পাশে ছবি তুলছিল। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।