মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বাবু হত্যা মামলার
প্রধান আসামি কাজী মিজানুর রহমানের জামিন ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে জামিন স্থগিতাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কপি চাঁদপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে
সরকারি রেজিস্ট্রার (জিপি) ডাকযোগে পৌঁছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের
জামিন ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিতের খবর পেয়ে গতকাল মোবারক হোসেন বাবু হত্যা মামলার ধার্য্য তারিখে মামলার আসামি কাজী মিজানুর রহমান আদালতে হাজির হয়নি।
গত ৩১ আগষ্ট হাইকোর্ট থেকে কাজী মিজান, কাজী মতিন ও কাজী হাবিব জামিন পেলে ঐদিনই মামলার বাদী
ও নিহত বাবু’র আপন ভাই আমির হোসেন কালু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
উক্ত আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত কাজী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ৮ সপ্তাহের জন্য জামিন স্থগিতাদেশ দেন।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জামিন স্থগিতাদেশের কপি চাঁদপুর নিম্ন আদালতে পৌঁছার বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সেলিম মিয়া জানান,
আমরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জামিন স্থগিতাদেশের কপি পেয়ে নিম্ন আদালতে কাজী মিজানুর রহমানের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করি।
তবে আদালত নথি দেখে আদেশ দিবেন বলে জানান।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আদালত সুত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের জামিন স্থগিতাদেশের বিষয়ে নিম্ন আদালত নথি দেখে আদেশ দিবেন।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন তারিখে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে
মাথাভাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশে আসার পথে কাজী মিজানের নির্দেশে তার ভাই কাজী মতিনের নেতৃত্বে মিছিলে গুলিবর্ষণের পর
যুবলীগ নেতা মোবারক হোসেন বাবু’সহ ৫ জন গুলিবিদ্ধ হলে তাদের তাৎক্ষণিক মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক মোবারক হোসেন বাবু কে মৃত ঘোষণা করে। ঐদিন রাতে মতলব উত্তর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলে
পরদিন ১৮ জুন তারিখে সকালে প্রধান আসামি কাজী মিজানুর রহমান কে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
আড়াই মাস পর গত ৩ সেপ্টেম্বর তারিখে চাঁদপুর জেলখানা থেকে জামিনে বের হন।
Related