নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় নোয়াখালীর সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। শনিবার দিনে বৃষ্টি না হওয়ায় কিছু এলাকার বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও রাতের বৃষ্টিতে সেটি আবার বেড়ে গেছে। রোববার সকাল থেকেও জেলার সর্বত্র হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পাশের ফেনী জেলার বন্যার পানি ঢুকে নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় এরই মধ্যে জেলার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া জেলার আটটি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া বন্যার পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় গতকাল একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় নিচের সংখ্যা চারজনে দাঁড়াল।
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতেও অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে। আজ সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, মাইজদীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনের সড়কে প্রায় হাঁটুপানি। শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা বিবি খোদেজা বলেন, বাড়ির উঠানে এখনো কোমরসমান পানি। ঘরের ভেতর হাঁটুপানি। রান্নাঘরের চুলা ডুবে গেছে অনেক আগে। বাইরে থেকে কিনে আনা শুকনা খাবার এবং প্রতিবেশীদের দেওয়া খাবার এই টিকে আছেন কোনোরকম। রাতের বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যাকবলিত সেনবাগ, বেগমগঞ্জ, চাটখিল ও সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক পরিবারের কাছে এখনো সরকারি–বেসরকারি সহায়তা পৌঁছায়নি। বুকসমান পানির কারণে এসব এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা যাচ্ছে না।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জাহিদ হাসান খান বলেন, যেসব এলাকায় সরকারি–বেসরকারি কোনো ত্রাণ পৌঁছায়নি, সেগুলোর তালিকা নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তালিকা হাতে পাওয়ার পরই সব এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
নবান্ন টিভি
Related