1. aoroni@nobanno.com : AORONI AKTER : AORONI AKTER
  2. aporna@gmail.com : Aporna Halder : Aporna Halder
  3. admin@hostitbd.xyz : hostitbd :
  4. admin@nobannotv.com : nobannotv.com : Nobannotv com
বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টিভি, আইপিএস ও সোফা খুলে নিলেন ওসি
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন

বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টিভি, আইপিএস ও সোফা খুলে নিলেন ওসি

নবান্ন
  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ২০২ বার পঠিত
বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টিভি, আইপিএস ও সোফা খুলে নিলেন ওসি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বদলি হওয়ায় থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা খুলে নিয়েছেন।

এভাবে থানার জিনিসগুলো খুলে নেওয়ার ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যান চালকের সহায়তায় থানার কক্ষ থেকে জিনিসপত্রগুলো খোলা হয়।

এরপর সেগুলো থানা থেকে ভ্যানযোগে ওসির কোয়ার্টারে নেওয়া হয়।

 

এ দিকে থানার সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য যারা জিনিসগুলো উপহার দিয়েছেন তারা বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

এছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, একজন ওসি ৯ম গ্রেডের কর্মকর্তা।

সর্বসাকুল্যে তিনি ২২ হাজার টাকা মূল বেতন ও আনুষাঙ্গিক মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকার মত বেতন পান। (হিসেবটি আনুমানিক ধরা হয়েছে, চাকরির মেয়াদ, ইনক্রিমেন্ট অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে)

এ টাকার বেতনভুক্ত একজন সরকারি কর্মচারী একটি এক টনের এসি, ৫৬’’ এলইডি স্মার্ট টেলিভিশন, সোফা সেট কেনার মতো আর্থিক সার্মথ্য রাখেন না।

যদি না তিনি এসব কারও কাছ থেকে উপহার হিসেবে পান। সেই উপহারের জিনিস ‍ওসি বদলি হওয়ায় খুলে নেওয়া এলাকাজুড়ে চলছে সমালোচনা, কানাঘুষা।

 

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৫১৭০/১ (৪৯) (আরওআই)

আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তার এই বদলির আদেশের পরের দিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা ও আইপিএস খুলে নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, থানায় জিনিসপত্র ব্যক্তিগত কাউকে দেওয়া হয় না। থানায় যে ওসি আসবে সেই ব্যবহার করবে।

এজন্যই জিনিসপত্রগুলো কেনার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে। এতো নিচু মন মানসিকতার ওসির সেটা জানা ছিল না।

থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিসপত্রগুলো খুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়ার্টারে রাখা হয়েছে।

নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জুরান মন্ডল বলেন, থানার সৌন্দর্য্য বর্ধন

ও থানার যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধা ভোগ করতে পারে সেজন্য বালু মহলের টাকা দিয়ে জিনিসপত্রগুলো দেওয়া হয়েছে।

থানার স্বার্থে, কারও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা ঠিক না।

তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া হয়নি। তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেওয়া হয়েছে।

ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান জানান, ওসির টাকায় কেনা জিনিসপত্র হলেতো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।

 

বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন,

যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।

জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, কারও অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না।

যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।

 

নবান্ন টিভি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2023 nobannotv.com
Design & Development By Hostitbd.Com