যশোরের ঝিকরগাছায় গভীর রাতে রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে ফেরদৌসী খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) রাত পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার নোয়ালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার মেয়ে জান্নাতি খাতুনকেও (১২) ছুরিকাঘাতে আহত করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত ফেরদৌসী খাতুন নোয়ালী গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী। আলতাফ হোসেন একজন প্রবাসী, তিনি স্পেনে থাকেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা বলছেন, চোরেরা চুরি করতে এসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। নিহত ফেরদৌসী বেগম নওয়ালী গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী। ফেরদৌসী বেগম ও তার স্বামী, সন্তানসহ পরিবারের সবাই গত ২৫ বছর ধরে স্পেন প্রবাসী এবং ওই দেশের নাগরিক। ছেলে আহসান কবীর হৃদয়ের বিয়ে উপলক্ষে এক বছর আগে তারা দেশে আসেন। ছেলের বিয়ের পর স্বামী ও ছেলে স্পেনে চলে গেলেও ফেরদৌসী বেগম মেয়ে নিয়ে ঝিকরগাছার নিজ বাড়িতে থেকে যান। শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে তারা ফেরদৌসী বেগমের গলায় ও বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এসময় তার চিৎকারে মেয়ে জান্নাতুল তার চাচাদের ডেকে তোলেন। খবর পেয়ে রাত তিনটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফেরদৌসী বেগমকে মৃত অবস্থায় পান। পুলিশ আহত জান্নাতুলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, রাতে এক ব্যক্তি জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢোকে। এ সময় তাকে দেখে ফেলায় প্রথমে ফেরদৌসী বেগমকে কানের নিচে ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে ঘুমিয়ে থাকা বাচ্চার ওপরেও ছুরি চালানো হয়। তার চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন ছুটে আসলে ঘাতক পালিয়ে যায়।
যশোরের নাভারণ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, অজ্ঞাত চোরেরা চুরি করতে এসে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে কাজ শুরু করা হয়েছে।