যত্রতত্রে ভাসমান দোকানে গজে উঠেছে ঈদগাঁও বাজার ও স্টেশনের বিভিন্ন পয়েন্ট। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকায়। নেই উচ্ছেদ অভিযানও। ফুটপাত ব্যবসায়ীদের রামরাজত্ব থেমে নেই। নির্দিষ্ট বাজারের বাহিরে প্রধান সড়কসহ নানা স্থানজুড়ে সকাল-সন্ধ্যা ভাসমান বাজারে সরগরম থাকে। যার ফলে জন ও যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমন অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়েন পথচারীরা।
দেখা যায়, ঈদগাঁও বাজারের শাপলা চত্ত্বর তথা চাউল বাজারের প্রবেশমুখ, ছাগল বাজার, হাইস্কুল গেইট থেকে স্টেশনের প্রবেশদ্বার পযন্ত সড়ক দুপাশ যেন মৌসুমী তরকারি ব্যবসায়ীদের দখলে বন্দি। ফুটপাতের সাথে রাস্তার একটা অংশ গায়েব হয়ে যায়। কাপড়সহ হরেক রকম জিনিসপত্রের সাজানো ভাসমান ঢালা-ভ্যানে। কিছু কিছু ব্যবসায়ী লোভের মোহে পড়ে তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে উপভাড়ায় ভাসমান ব্যবসা করার সুযোগ দিয়ে ফায়দা লুঠছে। ঠিক একইভাবে ঈদগাঁও স্টেশনে মহাসড়কের দুই পাশেও ভাসমান দোকানে ভরপুর। ফাষ্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, ঈদগাঁও বোডিং, সৌদিয়া কাউন্টার, যাত্রী ছাউনির পাশে, পাহাড়িকা ক্লাবের সামনে দীর্ঘদিন ধরে ভাসমান দোকানে নানা জিনিসপত্র বিক্রির হিড়িক পড়ে। ফলে দুরদুরান্ত থেকে আগত লোকজন ও যান চলাচলে অনেকটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। নেই কোন নিয়মনীতি। স্টেশনে জাগির পাড়া সড়কের মাথাস্থ মূদির দোকানের মালামাল চলাচল সড়কের উপর। দেখার যেন কেউ নেই।
বাজারে আগত লোকজনসহ যান চলাচলের সুবিধার্থে ঈদগাঁও বাজার ও স্টেশন এলাকাকে ফুটপাত মুক্ত রাখার দাবী সচেতন মহলের।মহাসড়কের দুপাশের অবৈধ পাকিংসহ ফুটপাতের বিরুদ্বে অভিযান দাবী। তবে সাধারন মানুষ শান্তিতে চলাফেরা করতে পারবেন বলেও জানালেন পথচারী শামশু, পেঠান ও গনি।
নবান্ন টিভি/ আবু হেনা সাগর