কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে নিদিষ্ট বাস টার্মিনাল না থাকায় সড়কে যাত্রী উঠানামায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী, চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ীসহ শিক্ষার্থী সমাজ। এছাড়াও প্রধান সড়কের উপর দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করায় যানজট সমস্যা দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারীসহ শিক্ষার্থীদের।
দীর্ঘবছর ধরেই কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা বাসষ্ট্যান্ডের নির্ধারিত কোন প্রকার জায়গা না থাকায় বেকায়দায় পড়েন যামবাহন চালকরা। হরেক রকমের যানবাহন ঈদগাঁও বাজার ও স্টেশনের যত্রতত্র স্থানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করায় যানজট সমস্যা কোনভাবে নিরসন হচ্ছেনা। এছাড়াও বাজারের ভেতরের ডিসি সড়কই যেন অঘোষিত বাসষ্ট্যান্ডে পরিণত হয়ে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভূমি অফিস সংলগ্ন স্থানে মাইজ পাড়া সড়কের টমটম, জালালাবাদ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সামনে ফরাজী পাড়া সড়কের টমটম, পাইপ বাজারস্থ সমিল সংলগ্ন চৌফলদন্ডী সড়কের টমটম, শাপলা চত্ত্বর পয়েন্টের পার্শ্ববর্তী চৌফলদন্ডী লাইনের সিএনজি গাড়ী সড়কের উপর আড়াআড়ি করে যাত্রী উঠা নামা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আবার হাইস্কুল গেইটের ত্রি-মুখী পয়েন্টে স্টেশন লাইনের অটো ও বাংলা রিকসার ষ্ট্যান্ডে রুপ নেয়। অন্যদিকে ঈদগাঁও স্টেশনের প্রবেশপথ,ঈদগড় সড়কের রাস্তার মাথা, সৌদিয়া কাউন্টারের পার্শ্ববর্তী স্থান, ভাই ভাই হোটেলের সামনে, পুলিশ বক্স, লাল ব্রিজের পাশে চার চাকার যানবাহন ও সিএনজি মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রেখে যাত্রী উঠানামা করায় বিব্রতর অবস্থায় রয়েছেন সাধারণ পথচারীসহ চাকুরীজীবিরা। পাশাপাশি ঈদগাঁও বাজারে ঔষুধ ও খাদ্যবাহী বড় বড় পরিবহন আসায় যানজট আরো তীব্রতর আকার ধারন করে থাকে। নেই কোন প্রকার নিয়মনীতি।
বাজার ও স্টেশন এলাকায় রয়েছে ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১টি কিন্ডারগার্ডেন,৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অভিভাবকদের থাকতে হয় উৎকন্ঠায়।
তাহেরসহ কয়জন অটোরিকশা চালক জানান, বৃহৎ এলাকায় একটি নিদিষ্ট বাস টার্মিনাল থাকলে নানা যানবাহন রাখার ক্ষেত্রে সুবিধা হতো, যাত্রী উঠানামায় একটা নিয়মে চলে আসতো। ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেত সাধারণ মানুষ।
ব্যবসায়ী ছৈয়দ করিম জানান, ঈদগাঁও উপজেলায় বাসটার্মিনাল নির্মাণ একটি যুক্তির দাবি। এটি নির্মাণ হলে যানজটের মতো দুর্ভোগ আর ভোগান্তি থেকে বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসী অন্তত মুক্তি পেত বলে মনে করি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নবান্ন টিভি/ এম আবু হেনা সাগর