গত ২২ আগস্ট থেকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, যাত্রী সংকটের কারণে ঢাকা-বরগুনা লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ। তবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবার চালু হচ্ছে ঢাকা-বরগুনা নৌ রুটের এমকে শিপিং লাইনসের লঞ্চগুলো।
এমকে শিপিং লাইনস কম্পানির মালিক মাসুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ যাত্রী সংকটে পড়েন। এর সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে লঞ্চ মালিক পক্ষও ভাড়া বৃদ্ধি করে।
এই নৌ রুটে নিয়মিত চলাচলকারী একাধিক যাত্রীদের অভিযোগ, জ্বালানি তেলের অজুহাতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ডেকের ভাড়া ৭৬৩ টাকার স্থলে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করেন লঞ্চ মালিকপক্ষ।
এতে যাত্রীও কমতে থাকে। যাত্রী সংকটে লোকসান গুনতে হচ্ছে মালিক পক্ষকে।
মালিক পক্ষের দাবি, যাত্রী সংকটে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা লোকসান দিয়ে লঞ্চ চালাতে হচ্ছে।
এতে গত ২২ আগস্ট থেকে ঢাকা-বরগুনা নৌ রুট বন্ধ করে দেয় মালিক পক্ষ।
অনেকেই হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে ফুলঝুড়ি, কাকচিড়া, রামনা, বামনা, আমুয়া,
কাঠালিয়া, বেতাগী, নিয়ামতি নৌ রুটের নিরাপদে যাতায়াতকারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েন।
সাধারণ যাত্রীদের দাবির কারণে মালিক পক্ষ ভাড়া কমিয়েছে।
এ বিষয়ে বেতাগী লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. কামাল হোসেন পল্টু বলেন,
‘লঞ্চ মালিক পক্ষ যাত্রী যাতে বৃদ্ধি পায়, এজন্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ’
বেতাগী লঞ্চ ঘাট শ্রমিক মো. সাহারুল হাওলাদার বলেন, ‘যাত্রী বেশি হলে কিছু টাকা আয় হলে ভালোভাবে চলতে পারব। ’
তবে আবার এই নৌ রুটে লঞ্চ চালু হতে যাচ্ছে এ সংবাদ সাধারণ যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।
বেতাগী পৌর শহরের কাপড় ব্যবসায়ী মো. মানিক খান বলেন, ‘হঠাৎ লঞ্চ বন্ধের খবরে আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তবে আবার চালু হতে যাচ্ছে এ সংবাদ মনে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে। ’
নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াতকারী যাত্রী বেতাগীর পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব মো. মজিবুর রহমান বলেন, সময় বেশি লাগলেও লঞ্চের যাত্রা আরামদায়ক।
নিরাপদ যাতায়াতের জন্য মানুষ এখনো লঞ্চে যাতায়াত করে। ’
এ বিষয়ে এমকে শিপিং লাইনস কম্পানির মালিক মাসুম খান বলেন, ‘যাত্রী সংকট ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে
এই ঢাকা-বরগুনা নৌ রুট বন্ধ করা হলেও আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে আবার চালু হচ্ছে। ’