দেশে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যদি পৃষ্ঠপোষকতা না করতো তাহলে আমরা জঙ্গি নির্মূল করতে পারতাম।
তাদের (বিএনপি) ভেতরেও জঙ্গিরা আছে। তাদের যে জোট সেই জোটের মধ্যে জঙ্গিরা আছে।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) সম্মেলনকক্ষে বই রক্তাক্ত মাগুরা,
এসময় প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুন নাহার, মোহাম্মদ নাছিমুল কামাল উপস্থিত ছিলেন।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যাচার খুনিদের উৎসাহিত করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন,
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবতো খুনিদের মুখপাত্র হিসেবে কথা বলছেন। আর ২১ আগস্ট তো ঘটিয়েছে তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়ার অনুমোদন ক্রমে।
এখন তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
অর্থাৎ খুনিদের সেই দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। উনিতো খুনিদের মুখপাত্র হিসেবে এ কথাগুলো বলছেন।
খুনিদের মুখপাত্রের বক্তব্য যেমন ঘৃণ্য, নিকৃষ্ট, জঘন্য মিথ্যাচার হয় তিনি সে রকমই কথা বলছেন। সেটার জবাব আমি গতকাল দিয়েছি।
আগামী শুক্র ও শনিবার বিএনপি গণমিছিল ঘোষণা করেছে এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন,
কারণ তারা জিরো পলিটিক্সের কারণে, যেগুলো পত্রপত্রিকায় খবর এসেছে।
সেগুলোর কারণে তাদের মধ্যে হতাশা ও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। সেজন্য রাত ৩টাও সংবাদ সম্মেলনে ডাকছেন তারা।
তাদের কর্মীরাও হতাশ, তাই তাদের চাঙা রাখার চেষ্টা করছে। এগুলো গতানুগতিক অন্য কিছু নয়।
মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,
দেশে কোনো জঙ্গি নেই। গ্রাম থেকে যাদের ধরা হচ্ছে এগুলো সব আওয়ামী লীগের নাটক। এ
গুলো ভারত এবং বিশ্বকে দেখানোর জন্য এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে জঙ্গি আটক করলে,
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবসহ বিএনপির নেতাদের গাত্রদাহ হয় কেন?
এতেই প্রমাণিত হয় কোন জঙ্গি ধরলে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ফখরুল ও বিএনপির নেতারা কথা বলেন। আগে বেগম খালেদা জিয়া বলতেন।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,
কিছু ধার্মীক লোককে ধরে নিয়ে গিয়ে জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। যেমন দলের চেয়ারম্যান, তেমন মহাসচিব।
চেয়ারম্যান যে লাইনে কথা বলবে, মহাসিচব যদি সে লাইনে কথা না বলে তাহলে মহাসচিবের দায়িত্বে থাকবেন না।
এসব বক্তব্যেই এটা প্রমাণিত হয়, এদেশে জঙ্গিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপির নেতৃত্ব।
ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগদান করেছেন, সেখান থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় কি মাইলফলক আমরা পেতে পারি এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন,
ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ব্রিকসে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ব্রিকস উদীয়মান অর্থনৈতিক দেশগুলোর জোট।
সেই জোটে আমন্ত্রণ জানানো তারমানে হচ্ছে বাংলাদেশ যে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ সেটিকে স্বীকার করে নেওয়া। সেই জোটে যদি আমরা যোগদান করি।
তাহলে আমাদের অর্থনীতি আরও চাঙা হবে এটাই স্বাভাবিক।