চাঁদের মাটিতে আপাতত রোভার প্রজ্ঞানকে ‘ঘুম’ পাড়িয়ে দিল ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো।
ইসরোর আশা, পরবর্তী সূর্যোদয়ের সময় ফের ‘জেগে’ উঠবে প্রজ্ঞান।
চাঁদে অবতরণের পর থেকেই প্রজ্ঞানের গতিবিধি ও বিক্রমের কার্যক্রম নিয়ে প্রতিদিনই ইসরো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তথ্য দিচ্ছে।
নতুন তথ্যে ইসরো জানিয়েছে, রোভার প্রজ্ঞানের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন হয়েছে।
প্রজ্ঞানকে ঠিকমত পার্ক করা হয়েছে। ১২তম দিনে এটিকে স্লিপ মোডে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এপিএক্সএস এবং এলআইবিএস পে-লোডগুলোর মত যন্ত্র বন্ধ করা হয়েছে।
এই পে-লোডগুলো থেকে তথ্য ল্যান্ডারের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে।
প্রজ্ঞান তার সীমিত গতিশীলতা সত্ত্বেও শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ১০০ মিটারেরও বেশি এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে এবং মূল্যবান বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত পৃথিবীতে পাঠিয়েছে।
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা আরও জানিয়েছে, বর্তমানে রোভারের ব্যাটারিতে পুরো চার্জ আছে।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর যে সূর্যোদয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে, সেইসময় যাতে আলো পায়, সেরকমভাবেই সোলার প্যানেল রাখা হয়েছে।
রিসিভারও চালু রাখা হয়েছে। আরও একগুচ্ছ কাজের জন্য যাতে রোভার ঘুম থেকে উঠে পড়ে, সেই আশা করা হচ্ছে।
তা নাহলে সেখানেই ভারতের চন্দ্রদূত হিসেবে চিরকাল থেকে যাবে রোভার।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর হিসাবে ১৪ দিন অর্থাৎ এক চন্দ্রদিবস। চাঁদে এই ১৪ দিনই সূর্যের আলো থাকে।
অর্থাৎ, চাঁদে এক দিন সম্পন্ন হয় পৃথিবীর ১৪ দিনে। তার পর সূর্য ডুবে যায়।
গত ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রযান-৩। এরপর ৩৯ দিনে প্রায় ৩ লাখ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২৫ আগস্ট এটি চাঁদে পৌঁছায়।
এ যানের সঙ্গে আছে একটি ল্যান্ডার, একটি রোভার ও একটি প্রোপালশন মডিউল। সব মিলিয়ে এর ওজন ৩ হাজার ৯০০ কেজি।
আরও পড়ুন :