১ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাহিত্য ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি কাজী মোস্তাফিজুর রহমান (৪৩) এর উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনার বিবরণে কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত ১ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮ টা ৩০ মিনিটে ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী রেকমত আলী স্কুলের পার্শ্বে আমার চেম্বারে আসে।আমি পেশায় ডাক্তার হওয়ায় চেম্বারে থাকা অবস্থায় মিজমিজি তালতলা গাজী ভবনের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে নামধারী ছাত্র সমন্বয়ক মাহিন(২৪) এবং সিদ্ধিরগঞ্জ পাইনাদী এলাকার সোহান (২৩), অনিক(২৩) সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্র সহ বেআইনি ভাবে চেম্বারে প্রবেশ করে আমাকে ভূয়া ডাক্তার বলে এবং ডাক্তারী সার্টিফিকেট দেখতে চায়। একপর্যায়ে তাদের কথায় রাজি হয়ে সার্টিফিকেট দেখাইলে ভূয়া বলে আমার নিকট ৩,০০,০০০(তিন লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং গালি দিতে নিষেধ করলে আমার চেম্বারের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে প্রায় ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে। তখন ভাঙচুরে বাধা প্রদান করলে আমাকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারধর করে বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং সাথে থাকা নগদ (৮,০০০) টাকা ছিনিয়ে নেয়।আমার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে নামধারী ছাত্র’রা আমাকে পরবর্তী সময়ে সুযোগমত পাইলে আমার আরো বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করবে এবং লাশ গুম করে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল ২ অক্টোবর বুধবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এবং সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পরবর্তী ডাঃ মোস্তফিজুর রহমান নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমন্বয়ক দের বিষয়টি সম্পর্কে বললে তারা বলেন, আমরা তাদেরকে চিনি না।কিন্তু আমরা খবর নিয়ে দেখছি,তারা কে বা কারা।
সরকারি তোলারাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র নিরব রায়হান মুঠোফোনে সমন্বয়ক নামধারী অনিক(২৩) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে অস্বীকার করে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেন।
নবান্ন টিভি/ সুমন ইসলাম