রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে। পদ্মা পার হতে পরীক্ষামূলক ট্রেনটির সময় লেগেছে মাত্র ৮ মিনিট।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৭ মিনিটে কমলাপুর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ঠিক ১১টা ২৬ মিনিটে পদ্মা সেতুতে ট্রেন ওঠে।
৬.১৫ কিলোমিটার সেতু ট্রেনে করে পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ৮ মিনিট। ঠিক ১১টা ৩৪ মিনিটে পদ্মা সেতু পার হয় ট্রেনটি।
ঈশ্বরদী থেকে গতকাল বুধবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে পদ্মা সেতুর ট্রায়াল রান ট্রেনটি রাজবাড়ী স্টেশনে পৌঁছে।
ট্রেনটি আটটি কোচ ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে গতকাল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে এসে কমলাপুর স্টেশনে অবস্থান করে ট্রেনটি।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এই ট্রেনে রয়েছেন।
মাত্র ৮ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দেওয়া ট্রেনটিকে স্বাগত জানায় দুই প্রান্তের মানুষ। চোখে-মুখে উৎসুক জনতার আনন্দের উচ্ছ্বাস।
এই যেন উত্তাল পদ্মায় উৎকণ্ঠার যাত্রার অবসান। সড়কপথে যারা যাতায়াত করতে পারেন না এবার রেলপথে যাতায়াত যেন তাদের মনেও স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে।
এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে।
যদিও যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্প উদ্বোধন হবে ২০২৪ সালের জুনে। এ লক্ষ্য ঠিক করে এগুচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক রুটটি।
এ রুট দিয়ে বাংলাদেশের রেলপথ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন চার জেলা (মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল) অতিক্রম করে যশোরের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
একই সঙ্গে বিদ্যমান ভাঙ্গা-রাজবাড়ী থেকে কুষ্টিয়া হয়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সঙ্গেও যুক্ত হবে এ রেলপথ।
ফলে এসব অঞ্চলে কম খরচেই পণ্য ও যাত্রী চলাচল করতে পারবে ঢাকার সঙ্গে।