দুই দিনের সফর শেষে ঢাকা ত্যাগ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। ঢাকা থেকে ভারতের দিল্লিতে যাবেন তিনি। সেখানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী (আইসিটি) ইয়াফেস ওসমান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আসেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সফরের প্রথম দিন তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নিজস্ব গতিতে এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সের্গেই ল্যাভরভ।
ল্যাভরভ বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখতে আমরা সহযোগিতা বজায় রাখছি।
মিয়ানমারের সঙ্গে রাশিয়া যোগাযোগ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,
তাদের (বাংলাদেশ-মিয়ানমার) একটি পক্ষের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে বাইরের কয়েকটি দেশ এই ইস্যুটি ব্যবহার করছে।
এভাবে তারা দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপও করছে। আমি মনে করি, এটি অগ্রহণযোগ্য, এতে বিরূপ ফলই আসে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ, আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে রাশিয়া-বাংলাদেশ পরস্পরকে সহযোগিতা করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের চাপ সত্ত্বেও আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুরা বিশেষভাবে জাতীয় স্বার্থে তাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনা করছে। আমরা তার প্রশংসা করছি।’
সফরের দ্বিতীয় দিন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাক্ষাতে তিনি বলেন, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই রাশিয়া থেকে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক জ্বালানি বা ইউরেনিয়াম পাঠানো হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ধানমন্ডিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান
প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে আসা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন তিনি।
পরে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে রাশিয়ার দূতাবাসে যান ল্যাভরভ।
আরও পড়ুন :