1. aoroni@nobanno.com : AORONI AKTER : AORONI AKTER
  2. aporna@gmail.com : Aporna Halder : Aporna Halder
  3. admin@hostitbd.xyz : hostitbd :
  4. admin@nobannotv.com : nobannotv.com : Nobannotv com
ঈদের ছুটির আট দিনে সড়কে নিহত ১৩২, আহত ২০৮ — Nobanno TV
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন

ঈদের ছুটির আট দিনে সড়কে নিহত ১৩২, আহত ২০৮

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৪ বার পঠিত

এবার ঈদের ছুটির আট দিনে দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩২ জন নিহত হয়েছেন। এ তথ্য সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)।

দেশের পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঈদের ছুটিতে (২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল) সড়কে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে মারা গেছেন ৩২ জন। সংখ্যার দিক থেকেও সড়ক দুর্ঘটনা ঢাকা বিভাগে বেশি, ২৭টি।

বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ঈদের ছুটির আট দিনে সারা দেশে ১১০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০৮ জন।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি শুরু হয় ২৮ মার্চ। এ ছুটি শেষ হয়েছে ৫ এপ্রিল (গতকাল শনিবার)। ঈদের সময় প্রতিবারই সড়কে হতাহতের ঘটনা ঘটে, যার ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। বিআরটিএ সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে।

বিআরটিএর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩১ মার্চ (ঈদের দিন)। সড়কে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুও হয়েছে সেদিন। ঈদের দিন সারা দেশে ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়। ঈদের পরদিন (১ এপ্রিল) সড়কে মৃত্যু হয় ১৯ জনের। এর পরদিন ২ এপ্রিল দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জনের মৃত্যু হয়।

২ এপ্রিল তিন মেয়ে তাসনিয়া ইসলাম, আনিশা আক্তার ও লিয়ানাকে নিয়ে মাইক্রোবাসে করে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও লুৎফুন নাহার দম্পতি। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ভাগনি তানিফা ইয়াসমিন। পথে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সেদিন সকালে তাঁদের মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে নিহত হন রফিকুল ইসলাম, লুৎফুন নাহার, লিয়ানা ও তানিফা। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় আনিশা। সবশেষ গত শুক্রবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যায় তাসনিয়া। শুধু ওই দুর্ঘটনাতেই ১১ জন নিহত হন।

বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ঈদের ছুটির আট দিনে ঢাকা বিভাগের পর সড়কে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে, ৩১ জন। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ২৩, রাজশাহী বিভাগে ১৪, রংপুর বিভাগে ১১ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে সড়কে সবচেয়ে কম মৃত্যু সিলেট ও বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে সিলেটে মারা গেছেন ৫ জন আর বরিশালে মারা গেছেন ৬ জন।

দুর্ঘটনাও বেশি ঢাকা বিভাগে
রাজধানীর বনানীতে ২৮ মার্চ ভোরে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বহনকারী একটি বাস উল্টে যায়। এতে ৪২ জন আহত হন।

বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে, যার সংখ্যা ২৭। এসব দুর্ঘটনায় ৮৪ জন আহত হন। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ১৯টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭টি, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে ১৪টি করে, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭টি করে ও সিলেট বিভাগে ৫টি সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে।

গত দুই ঈদে পরিস্থিতি কেমন ছিল
বিআরটিএর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুনে ঈদুল আজহার সময় (১১-২৩ জুন) ১৩ দিনে সারা দেশে সড়কে নিহত হন ২৩০ জন ও আহত হন ৩০১ জন। ওই সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ২৩৫টি।

অন্যদিকে গত বছরের এপ্রিল মাসে ঈদুল ফিতরের সময় (৪–২০ এপ্রিল) ১৭ দিনে সারা দেশে ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত হন ও আহত হন ৪৬২ জন।

এবার ঈদে কোন ধরনের যানবাহন সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে, সেই তথ্য অবশ্য বিআরটিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নেই।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, চালক, যানবাহন, সড়ক—সবকিছু সঠিক থাকার পরও যখন কোনো ঘটনা ঘটে, সেটি দুর্ঘটনা। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটার জন্য সব উপাদান বিদ্যমান থাকার পর যে ঘটনা ঘটে, সেটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড।

তবে এবার ঈদযাত্রায় ভোগান্তি সেভাবে ছিল না বলে উল্লেখ করেন সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, এবার তুলনামূলকভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি—দুটোই কম হয়েছে। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় যাঁর পরিবারে একজন মারা গেছেন, তাঁদের জন্য সেটাই অনেক বড় কিছু। তাই সড়ক নিরাপদ করার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

নবান্ন টিভি

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2023 nobannotv.com
Design & Development By Hostitbd.Com