আগামী ৭ অক্টোবর সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বা থার্ড টার্মিনাল।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
যাত্রীদের জন্য থার্ড টার্মিনাল খুলছে ২০২৪ এর শেষেযাত্রীদের জন্য থার্ড টার্মিনাল খুলছে ২০২৪ এর শেষে
এরআগে, গত ২৭ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বেবিচক চেয়ারম্যান এ বছরের অক্টোবরে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধনের বিষয়ে ধারনা দিয়েছিলেন।
সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, এ বছর উদ্বোধন হলেও যাত্রীরা এটি ব্যবহার করতে পারবে আগামী বছরের শেষের দিকে।
সে সময় এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা।
পরে আরো ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির নির্মাণ শুরু হয়।
প্রকল্পটির নির্মাণব্যয়ের বেশির ভাগ আসছে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার কাছ থেকে। সংস্থাটি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
আর বাকি ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
তৃতীয় টার্মিনালের নকশা করেছেন প্রখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। টার্মিনালের মূল ভবনের আয়তন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার।
জাপানি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিমুজি আর কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান স্যামসাং যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, শাহজালালে বর্তমানে যে দুটি টার্মিনাল রয়েছে, তার যাত্রী ধারণক্ষমতা বছরে প্রায় ৭০ লাখ।
তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হয়ে গেলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটির কাছাকাছি।
তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ হলে এর অ্যাপ্রোন বা পার্কিং এলাকায় একসঙ্গে রাখা যাবে ৩৭টি উড়োজাহাজ।
ভেতরে যুক্ত হবে নতুন ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১১টি বডি স্ক্যানার আর ১৬টি লাগেজ বেল্ট।
এ ছাড়া থাকবে স্বয়ংক্রিয় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনা। এর পার্কিংয়ে একসঙ্গে রাখা যাবে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি।
তৈরি করা হবে আমদানি ও রপ্তানির জন্য আলাদা কার্গো কমপ্লেক্স। থাকবে ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার।
এই টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত করা থাকবে মেট্রোরেলও। আর বর্তমান দুই টার্মিনালের সঙ্গে সুড়ঙ্গপথে যুক্ত হবে তৃতীয় টার্মিনাল।