হরমোনজনিত কারণে নারী -দের মুখেও দাড়ি গজাতে পারে। তবে তা খুব কমই দেখা যায়।
আর যাদের মুখে দেখা যায়, তারা লোকলজ্জার কথা চিন্তা করে সেই দাড়ি কেটে ফেলেন। বড় হতে দেন না।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের এক নারী গত দুই বছর ধরে তাঁর দাড়ি কাটেননি।
এ কারণে এখন একজন দরবেশের মতো দেখা যায় তাঁকে। এরই মধ্যে এক বিরল রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন।
গিনেসের বরাতে এবিপিলাইভ ডটকম বলছে, মিশিগানের ওই নারীর নাম ইরিন হানিকাট।
দুই বছর না কাটার পর এখন এ নারীর দাড়ি ১১ দশমিক ৮১ ইঞ্চি। আর তাতেই তিনি গড়েছেন রেকর্ড।
বিশ্বের জীবিত নারীদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা দাড়ি এখন ইরিনের।
৩৮ বছর বয়সী ইরিন বিরল পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রমে আক্রান্ত। হরমোনের গণ্ডগোলের কারলেই এই সমস্যা দেখা যায়।
তবে দাড়ি বড় করার জন্য কোনো হরমোন বা পরিপূরক ওষুধ নেননি তিনি।
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা দাড়ির নারীর রেকর্ডটা এতদিন ছিল ৭৫ বছর বয়সী ভিভিয়ান হুইলারের। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলেন ইরিন।
৩৮ বছর বয়সী ইরিনের দেহে এই সিনড্রম ধরা পড়ে তিনি ১৩ বছর বয়সে থাকতে।
এরপর তিনি পুরুষদের মতো নিয়মিত শেভ করতেন। তবে গত দুই বছর আর শেভ করেননি।
হানিকাট বলেন, করোনার সময় এ ব্যাপারে তিনি অনুপ্রেরণা পান। তখন মাস্ক ব্যবহার করার কারণে দাড়ি দেখা যেত না।
এ কারণে দাড়ি রাখতে কোনো অসুবিধা হয়নি। এমনকি তার মাও তাঁর পাশে ছিলেন।
আরও পড়ুন :