চীন সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। বুধবার তিনি চীনের সাংহাই পৌঁছান। সেখানে তিনি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করবেন। তারপর শুক্রবার যাবেন বেইজিংয়ে। সেখানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তার কথা হবে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথেও বৈঠক করতে পারেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
এক বছরের মধ্যে চীনে এটি তার দ্বিতীয় সফর। এই সফরে ব্লিংকেন দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করবেন।
গত বছর জুনে ব্লিংকেন চীন সফরে গিয়েছিলেন। তার সেই সফরের ফলে দু’দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা কমেছিল। পাঁচ বছরের মধ্যে ব্লিংকেনই সর্বোচ্চ মার্কিন কূটনীতিক যিনি চীন সফরে যান।
এরপর নভেম্বরে দু’দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের ফলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা কিছুটা হলেও কমেছিল।
‘মুখোমুখি আলোচনার দরকার আছে’
ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আর খারাপ না হলেও এখনও বেশ কিছু সমস্যা থেকে গেছে। তাইওয়ান নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা আছে। ইউক্রেন যুদ্ধে চীন যেভাবে রাশিয়াকে সমর্থন করছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ। চীন থেকে ফেন্টানিল বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক কম করার ক্ষেত্রেও বিশেষ অগ্রগতি হয়নি।
ব্লিংকেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, চীন থেকে ফেন্টানিল ও সিন্থেটিক আফিমের মতো ওষুধ আসাটা কম করার বিষয়টি নিয়ে তিনি চীনা নেতৃত্বের সাথে কথা বলবেন।
তিনি জানান, “মুখোমুখি বসে আলোচনার মাধ্যমে কূটনীতির আলাদা গুরুত্ব আছে।”
ব্লিংকেন বলেন, “ভুল ধারণা ও ভুল বার্তা এড়ানো দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের স্বার্থরক্ষাটাও জরুরি।”