1. aoroni@nobanno.com : AORONI AKTER : AORONI AKTER
  2. aporna@gmail.com : Aporna Halder : Aporna Halder
  3. admin@hostitbd.xyz : hostitbd :
  4. admin@nobannotv.com : nobannotv.com : Nobannotv com
একজন ব্রিটিশ নার্স সাত নবজাতক শিশুকে হত্যা করেন — Nobanno TV
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:২৪ অপরাহ্ন

একজন ব্রিটিশ নার্স সাত নবজাতক শিশুকে হত্যা করেন

নবান্ন
  • আপডেট সময় : রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩
  • ৮৯ বার পঠিত
নবজাতক

হাসপাতালের নবজাতক পরিচর্যা ইউনিটে দায়িত্ব পালনকালে সাত শিশুকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন একজন ব্রিটিশ নার্স।

এছাড়া একই ইউনিটের আরও ছয় শিশুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগেও তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

কী কারণে তিনি এই পাশবিক আচরণ করেছেন তার নির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি।

কিন্তু এর সম্ভাব্য বেশকিছু কারণ উঠে এসেছে তদন্তে।

আগামী সোমবার (২১ আগস্ট) যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ক্রাউন কোর্টে ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ শিশু সিরিয়াল কিলিং ঘটনার সাজা ঘোষণা হতে যাচ্ছে।

একজন সেবিকা হয়েও লুসি লেটবি কী করে নবজাতক শিশুদের সঙ্গে এমন পাশবিক আচরণ করলেন তা হতবিহবল করে ছেড়েছে বিশ্ববাসীকে!

সিরিয়াল কিলাররা সাধারণত ঠান্ডা মাথার খুনি হন, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পেছনে অনেক সময় থাকে হালকা ধরনের কোনো মোটিভ।

কিন্তু হাসপাতালে কর্মরত কোনো নার্সের হাতে তার-ই দায়িত্বে থাকা নবজাতক শিশুদের মৃত্যু যে কোনো ক্রাইম- থ্রিলারকেও হার মানায়।

তবে কি এই রোমহর্ষোক সিরিয়াল কিলিং-এর ঘটনাটির পেছনে ছিল কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য?

লুসি লেটবির ক্রিয়াকলাপের পেছনের কারণগুলোর সম্পূর্ণরূপে ব্যাখ্যা করা যায় না, তবে বিচারকদের সামনে বেশ কিছু সম্ভাব্য মোটিভ তুলে ধরেছে তদন্তকারীরা।

লুসি কি নিজেকে ঈশ্বর ভাবা শুরু করেছিল?

সাধারণত যেসব ব্যক্তিদের গড সিনড্রোম থাকে তারা নিজেদের অন্যের চেয়ে সুপেরিয়র বা উন্নত ভাবা শুরু করে।

ভাবে তাদেরও সকলকে নিয়ন্ত্রণ করার ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে ।

নার্স লুসিও এতে আক্রান্ত ছিলেন কি না সে সম্ভাবনার কথা তুলেছেন তদন্তকারীরা।

বিশেষ করে, তার চূড়ান্ত শিকার ৩ জমজ ভাইয়ের হত্যাকাণ্ড এমনই ইঙ্গিত করে।

একজন তদন্তকারী বলেন, ‘সে (লুসি) ঘটনাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছিল। তার নিকট এসব ছিল দারুণ উপভোগ্য।

সে এমন সব বিষয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করছিল যা ঘটার সম্ভাবনা তার কাছে মনে হয়েছিল শতভাগ। মূলত সে ঈশ্বরের চরিত্রে অভিনয় করছিল।

শিশুদের আঘাত করে সে মজা পেত

লুসিকে আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল, কিন্তু দুইবারই সে মুক্তি পেয়ে যায়।

২০২০ সালে তৃতীয়বারের মতো তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সেবার তার বাড়ি তল্লাশির সময় হাতে-লেখা একটি চিরকুট পায়। তাতে লেখা ছিল- ‘আমি শয়তান, আমিই এ কাজ করেছি’।

বিচারের সময়, তদন্তকারীরা পরামর্শ দিয়েছিলেন যে লুসি একান্তে এরকম অকপট স্বীকারোক্তি করলেও সে মূলত এই শোক ও হতাশায় রোমাঞ্চ বোধ করছিল।

অন্যান্য চিকিৎসকের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা

তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন, কাউন্টেস অব চেস্টার হাসপাতালে কর্মরত একজন বিবাহিত ডাক্তারের সাথে লুসির গোপন সম্পর্ক ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে এই চিকিৎসক ইন্টেন্সিভ কেয়ারে থাকা শিশুদের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন।

কোনো শিশুর অবস্থা অবনতির দিকে গেলে তাকে ডাকা হতো।

মূলত, তদন্তকারীরা বোঝাতে চেয়েছেন যে ‘ব্যক্তিগত মনোযোগ’ পাওয়ার আশায় নার্স লুসি শিশুদের আঘাত করেছিল।

যদিও লুসি এ অভিযোগ নাকচ করেছে।

আদালতে দেখানো প্রমাণাদি থেকে জানা যায়, এই জুটি নিয়মিত ক্ষুদে বার্তা আদান- প্রদান করতো।

হার্ট ইমোজি অদলবদল করতেও দেখা গেছে তাদের।

এমনকি ২০১৬ সালে লুসিকে নবজাতক ইউনিট থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেও তারা কয়েকবার দেখা করেছে।

‘আমি যথেষ্ট ভালো মানুষ নই’

লুসি লেটবির হাতে লেখা বেশ কিছু চিরকুট বিচারকদের সামনে তুলে ধরা হয়।

একটি চিরকুটে সে লিখেছিল, ‘আমি তাদের খুন করেছি, কারণ তাদের যত্ন নেয়ার মতো যথেষ্ট ভালো মানুষ আমি নই।

আমি ভীষণ খারাপ মানুষ।’ অপর আরেকটি চিরকুটে সে লিখেছিল, ‘আমি কখনই সন্তান নেব না বা বিয়ে করব না।

নিজের পরিবার হলে কেমন লাগে, তা হয়তো আমি কখনোই জানতে পারবো না।’

স্রেফ একঘেয়েমি

লুসি লেটবি একজন ব্যান্ড ৫ নার্স ছিল। অর্থাৎ, তার নবজাতক ইউনিটের সবচেয়ে অসুস্থ শিশুদের যত্ন নেওয়ার দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণ ছিল।

ট্রায়ালে সে স্বীকার করে যে, যেসব শিশুদের তেমন যত্ন বা চিকিতসার প্রয়োজন নেই,

সেসব শিশুদের দেখভালের দায়িত্ব তাকে দেয়া হলে সে খুব বিরক্ত বোধ করতো। কাজটা ছিল তার জন্য একঘেয়েমির।

মামলার কৌসুঁলিরা জানিয়েছেন, লুসি কয়েকটি শিশুর দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন ও বাতাস ঢুকিয়ে এবং বাকিদের জোর করে দুধ খাইয়ে হত্যা করেছেন।

কয়েকজন শিশুর ওপর একাধিকবার আক্রমণ করে তিনি তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।

লুসি এভাবেই খুনগুলো করেছিল যাতে দেখে মনে হয় এগুলো সাধারণ মৃত্যু-ই!

ক্রাউন প্রসেকিউসান সার্ভিসের আইনজীবী প্যাসকেল জোনসের মতে, বাতাস, দুধ, তরল-বা ইনসুলিনের মতো নিরীহ জিনিসগুলোই লুসির হাতে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছিল।

তার পেশাগত শিক্ষা ও দক্ষতার যথার্থ মর্যাদা সে দিতে পারেনি।

নবান্ন টিভি

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2023 nobannotv.com
Design & Development By Hostitbd.Com