বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেছেন, ৭ শতাংশ কমিশন এজেন্ট দিলেও দাবি মেনে নেবেন পেট্রোল পাম্প মালিকরা।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
নাজমুল হক বলেন,
আমাদের যে তিনটি দাবি ছিল; তার মধ্যে দুটি ইতোমধ্যে মেনে নেয়া হয়েছে।
এটি যদি ৭ শতাংশও হয়; তাহলেও আমরা মেনে নিব।
তিনি বলেন, ‘জ্বালানি মন্ত্রণালয় যেহেতু সময় চেয়েছে এবং আমাদের দাবি মেনে নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে, সেক্ষেত্রে এই মুহূর্তে ধর্মঘটে যাওয়া যুক্তিপোযুক্ত সিদ্ধান্ত না।
যদি এক মাসের মধ্যে দাবি মানা না হয়, তাহলে অবশ্যই আমরা ধর্মঘটে যাব।’
দাবি মেনে নেয়ার কথা উল্লেখ করে বিপিসির জয়েন্ট সেক্রেটারি অনুপম বড়ুয়া বলেন,
তাদের (পেট্রোল পাম্প মালিক) সঙ্গে যখন আলোচনা করেছিলাম, আলোচনার টেবিলেই মূল দুটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছিল।
আরেকটি দাবির জন্য একমাস সময় চাওয়ার পরেও হঠাৎ এমন ধর্মঘটের কারণ কি তা বোধগম্য হচ্ছে না।
যেখানে আলোচনা করেই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব, সেখানে ধর্মঘটের কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
তিনি বলেন, ‘পেট্রোল পাম্পের দুটি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বিপিসি আলোচনা করেছে।
যদি আজকের মধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে সরকারিভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে বিপিসি বিশ্বাস করে যে কোনো সমস্যা সমাধানের মাধ্যম আলোচনার টেবিল।’
এদিকে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন সময় সংবাদকে জানান, আমাদের দাবি তিনটি।
এগুলো হলো- জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা,
জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা এবং জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা।
তবে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে থাকা একাংশ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।
আর পেট্রোল পাম্পের মালিকদের অন্য একটি অংশ ধর্মঘটের সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছে।
ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখতে এ হরতাল ডাকে তারা।
বিপিসির সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ায় এই ধর্মঘট চলছে।