বিশ্ব চকলেট দিবস আজ। রোজ ডে দিয়ে শুরু হয় ভ্যালেন্টাইন উইক। এরপরে প্রোপোজ ডে পেরিয়ে আসে চকলেট ডে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের তৃতীয় দিনে অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি চকলেট দিবস উদযাপিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) চকলেট ডে। প্রিয়জনকে চকলেট দেওয়ার দিন আজ।
ভিক্টোরিয়ার যুগে চকলেট প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে উপহার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইউরোপ ও আমেরিকায় ভালোবাসা জানানোর অন্যতম উপহার ছিল এটি। এদিকে গবেষণাতেও দেখা গেছে, চকলেটের স্বাদ মনের কষ্ট ভোলাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আনন্দের অনুভূতিও বাড়ায়। এ ছাড়া ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে সবার মধ্যে দূরত্ব কমাতেই যেন এ দিবসের সৃষ্টি। তাই এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে সব বয়সী মানুষের কাছে।
তবে যারা সিঙ্গেল আছেন তারা হতাশ হবেন না। কারণ দিবসটি প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য হলেও আজকের দিনে নিজে কিনে দিতে পারেন চকলেট। কারণ চকলেট খাওয়ার জন্য কাপল পাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই সুযোগ পেলেই কিনে খেয়ে নিতে পারেন চকলেট।
ইতিহাস বলে, ১৯৫০ সাল থেকে জাপানে ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে চকলেট উপহার দেওয়ার প্রথা শুরু হয় মোরোজফ নামের এক চকলেট প্রস্তুতকারী কোম্পানির হাত ধরে। তবে ওই দেশে কেবল প্রেমিকারাই চকলেট উপহার দেন পুরুষদের। এভাবেই শুরু হল চকোলেট ডের পথচলা। যা উনিশ শতক পার করে একুশ শতকেও সমান জনপ্রিয়।
৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় রোজ ডে (Rose Day)। এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে লাল গোলাপ ফুল উপহার দেন। ৮ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় প্রোপ্রোজ ডে (Propose Day)। এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।
৯ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় চকোলেট ডে (Chocolate Day)। ১০ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় টেডি ডে (Teddy Day) হিসেবে। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে টেডি বিয়ার উপহার দিয়ে থাকেন। ১১ ফেব্রুয়ারি প্রোমিস ডে (Promise Day) হিসেবে। এই দিনটিতে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে ভালোবাসা পালনের প্রতিশ্রুতি দেন। ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিবছরই পালিত হয় হাগ ডে (Hug Day) হিসেবে। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরকে আলিঙ্গন করে উষ্ণ সান্নিধ্য অনুভব করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় কিস ডে (Kiss Day)। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকারা পরস্পরের ঠোঁটে চুম্বন করে বা চুমু দিয়ে (ফ্লাইং কিস) ভালোবাসাকে তুরীয় মাত্রায় অনুভব করেন।
আর, ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হবে ভ্যালেন্টাইন’স ডে। এই দিনটিতে একান্তে ভালোবাসা অনুভব করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা।