সরকারিভাবে ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও বাজারে তা কার্যকর হয়নি। রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে নিয়ে জানা গেছে, বেঁধে দেওয়া ওই দামে এই তিন পণ্য বিক্রি হচ্ছে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আগের চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ডিম ও মুরগি।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন দর অনুসারে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা ও সোনালি মুরগি ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা ঠিক করা হয়। এ ছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম নির্ধারণ করা হয় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। তাতে প্রতি ডজন ডিমের দাম পড়ে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
গতকাল রোববার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এই তিন পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও পোলট্রি খাতসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মতামতের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জন্য ডিম ও মুরগির এই ‘যৌক্তিক মূল্য’ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজারে আজ সোমবার সকালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগি এবং ডিম আগের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে হাইব্রিড ধরনের সোনালি মুরগির কেজি ২৪০ টাকা।
অন্যদিকে, ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা দরে। তাতে প্রতিটি ডিমের দাম পড়ে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা। ফার্মের মুরগির সাদা ডিমও বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকার মধ্যে।