ফুলকপি শুধু স্বাদেই অতুলনীয় নয়, এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল; যা রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। প্রচুর আঁশ থাকায় দেহের বাড়তি ওজনও কমায় এটি। যেসব শিশু সবজি খেতে চায় না, তাদের ফুলকপি রোস্ট করে, পাকোড়া, নুডলস বা পাস্তার সঙ্গে দেওয়া যায়। মুরগি–মাছের সঙ্গেও ফুলকপি রান্না করা যায়।
ফুলকপিতে আছে প্রচুর খাদ্য আঁশ। থায়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, নায়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাসের ভালো উৎস এবং খুব ভালো পরিমাণে পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ফুলকপির বি, সি ও কে ভিটামিন আমাদের সর্দি, হাঁচি–কাশি, জ্বর জ্বর ভাব, নাক দিয়ে পানি পড়া সমস্যা দূর করে।
অকালে দাঁত লালচে হয়ে যাওয়া, দাঁতের মাড়ি দুর্বল হওয়া থেকে বাঁচায় ফুলকপি। এ ছাড়া ফুলকপিতে রয়েছে দাঁত ও মাড়ির উপকারী ক্যালসিয়াম ও ফ্লোরাইড। রক্ত জমাট বাঁধার কাজটি করে ভিটামিন কে। ফুলকপিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন; যা রক্ত তৈরি, গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য, বাড়ন্ত শিশু ও অতিরিক্ত পরিশ্রমী মানুষের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
● ফুলকপি ক্যানসারের জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সক্ষম।
● ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ফুলকপির রয়েছে গুণ।
● মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ভালো রাখতে ফুলকপির ভিটামিন বি ও কোলিন উপাদানে সহায়তা করে।
● গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত ফুলকপি খেলে নবজাতকের মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ বিকাশ ঘটবে।
● রক্ত তৈরিতে ফুলকপি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। তাই গর্ভবতী মাকে খাবার হিসেবে ফুলকপি দিন।
● যাঁরা শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে চান, খাদ্যতালিকায় রাখুন কম ক্যালরিযুক্ত ও উচ্চমাত্রায় আঁশসমৃদ্ধ এই ফুলকপি।
● ফুলকপি রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ উপকারী। কারণ, প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আছে এতে। চুল, ত্বক, ক্ষত ও ইনফেকশন প্রতিরোধেও এর রয়েছে অনেক গুণ।
সতর্কতা
ফুলকপিতে রয়েছে আমিষ ও পটাশিয়াম। তাই যাঁরা কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত, তাঁরা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। এ ছাড়া এটি পিউরিন–সমৃদ্ধ হওয়ায় যাঁরা গাউট রোগী, তাঁরা চিকিৎসক অথবা পুষ্টিবিদের পরামর্শে খাবেন।