ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের ওপর স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় ৭৮ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত ও তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২০ জন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানী রয়েছেন। তেহরান দাবি করছে, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রেরও সম্পৃক্ততা ছিল।
হামলার পর ইরান পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলে, যাতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। এই পরিস্থিতিতে শনিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া ‘অযৌক্তিক’। এরপর তিনি ষষ্ঠ দফার আলোচনা বাতিল করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইসরাইলের হামলায় ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৩০ জন সামরিক কর্মী এবং একজন ইরানি রেড ক্রিসেন্টের সদস্য বলে জানিয়েছেন ওই প্রদেশের গভর্নর বাহরাম সারমাস্ত।
তিনি আরও জানিয়েছেন, হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৫ জন আহত হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, তেহরানের একটি ভবনে ইসরাইলি হামলায় ২০ জন শিশুসহ ৬০ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েলের হামলা এখন পর্যন্ত মিলিয়ে ইরানের প্রায় শতাধিক নিহত হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
ইরানি হামলায় ইসরায়েলের ১৩ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই সংঘর্ষের ফলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই খবরটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, মধ্যপ্রাচ্য সংঘর্ষ, ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা, তেহরানের অভিযোগ, ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষ, ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা, আন্তর্জাতিক মহল, বিশ্ব নেতাদের পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ ইত্যাদি কিওয়ার্ডের জন্য উপযোগী।