কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়ে সোমবারের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শেষ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রাতে শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ সময় দেয়া হয়। পাশাপাশি মঙ্গলবার দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘট এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, মঙ্গলবার ব্লকেড কর্মসূচি থাকবে না। ছাত্র ধর্মঘট এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে। বেঁধে দেয়া সময়ে দাবি আদায় না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে সোমবারও আগের দিনের মতো সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর মোড়ে মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ করে অবস্থান নেন তারা। অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া আর কোনো পরিবহন চলতে না দেয়ায় কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে পুরো রাজধানী।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকেল চারটা থেকে রাজধানীর শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব, নীলক্ষেত, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, আঁগারগাও, মৎস্য ভবন ও গুলিস্তানসহ বিভিন্ন মোড় অবরোধ করে রাখেন শিক্ষাথীরা। যেখানে যে গাড়ি ছিল, সেখানেই সেগুলো আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিস শেষে ঘরে ফেরা মানুষ। অনেকে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
এদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ৬৫ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করেন শিক্ষার্থীরা। এ কমিটির সমন্বায়ক আসিফ মাহমুদ সময় সংবাদকে বলেন, শিক্ষার্থীরা রাত ৮টা পর্যন্ত সড়কগুলোতে অবস্থান করেন। এরপর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার দেশব্যাপী ছাত্র ধর্মঘট পালিত হবে। এদিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রতিবাদ জানাবেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সারা দেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গণসংযোগ করার ঘোষণা দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা। বুধবার থেকে সর্বাত্মক অবরোধ করা হবে বলেও তারা জানিয়েছেন।