যতটা গর্জালো, ততটা বর্ষালো না। বিসিবির বোর্ড মিটিংয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স, বিদেশি কোচিং স্টাফ নিয়ে ঝড় ওঠার কথা ছিল। কিন্তু ঝড় খুব একটা ওঠেনি। কিছু আলোচনা হয়েছে ঠিক। তবে, সেখানে খুব নেতিবাচক কিছু ছিল না। বরং, বোর্ড সভায় বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্টিই ফুটে উঠলো।
বোর্ড সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সে কথাই জানালেন। বরং, বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে একটা সাফাই তৈরি করলেন বোর্ড পরিচালকরা।
সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কাছে জানতে চাওয়া হয় বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সে তারা সন্তুষ্ট না অসন্তুষ্ট? জবাবে বিসিবি সভাপতি বললেন, ‘বাংলাদেশ খুবই ডিফিকাল্ট কন্ডিশনে খেলছে। এবারের বিশ্বকাপের উইকেটগুলো খুবই ডিফিকাল্ট উইকেট ছিল। এই উইকেটে যে কোনো ঘটনাই ঘটতে পারে। সে তুলনায় আমরা গ্রুপ পর্বে ভালো খেলছি। এই পর্বের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট।’
বিসিবি সভাপতি সন্তুষ্টির কারণ জানাতে গিয়ে অন্য দলগুলোর পারফরম্যান্সও টেনে আনেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, দক্ষিণ আফ্রিকা নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১ রানে জিতেছে। আফগানিস্তান হারিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে। পাকিস্তান হেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। মূলত কঠিন উইকেট হওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে। সে তুলনায়, আমাদের পারফরম্যান্স খুব একটা খারাপ ছিল না।
এ সময় অবশ্য সুপার এইট নিয়ে কিছু বলেননি পাপন। শুধু জানিয়েছেন, ‘সুপার এইটে এটা (ভালো করা) আমরা পারতাম, যদি সেই দলগুলোকে পেতাম।’ কাদেরকে পেলে ভালো করতো বাংলাদেশ, সে নামগুলো বলেননি অবশ্য।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের তরুণদের পারফরম্যান্সের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘এবার ৫জন তরুণকে নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিলাম আমরা। তানজিদ তামিম, তানজিম সাকিব, রিশাদ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি অনিক। এদের মধ্যে রিশাদ, সাকিব আর হৃদয়রা খুব ভালো খেলেছে। তাদের পারফরম্যান্সে আমরা খুব খুশি।’
তবে সিনিয়র ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সে বিসিবি খুবই হতাশ। পাপন বলেন, ‘আশা ছিল সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা ভালো করবে। তাদের কেউ না কেউ বিশ্বকাপটা ভালো খেলবে। কিন্তু তারা কেউ কিছু করতে পরেনি। তাদের পারফরম্যান্সে আমরা হতাশ। তারা কারো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তরুণরা ভালো খেলছে। এ কারণে খুশি। কন্ডিশনওয়াইজ আমরা ভালো খেলছি।’