মাহমুদউল্লাহর বয়স এখন ৩৮ বছর, সাকিব আল হাসানের ৩৭। দুজনের বয়স বিবেচনা করে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে একটি প্রশ্ন অনেকের মনেই জেগেছে—এটাই কি সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কি না!
ভারতের কাছে গতকাল সুপার এইটে বাংলাদেশের ৫০ রানের হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন সাকিব। তাঁকে কাছে পেয়ে প্রশ্নটি করে ফেলেন সাংবাদিকেরা—এটাই কি আপনার ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ?
এই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘শেষ কিনা জানি না। পৃথিবীতে যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হওয়া সম্ভব। এটা তো সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড, আমারও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। এগুলো এখানে আলোচনার বিষয় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। বলেছিলাম তখন পর্যন্ত চিন্তা। চিন্তা পরিবর্তন হতেই পারে। এগুলো নিয়ে আমি চিন্তিত না।’
দলের প্রয়োজন হলে এই সংস্করণে খেলা চালিয়ে যেতে চান বলেও মন্তব্য করেন, ‘সামনে অনেক বিরতি আছে। নিজের ওপর মনোযোগ দেওয়া যাবে। দলে প্রয়োজনীয়তা, দল যদি মনে করে দরকার আছে, আমি যদি মনে করি আমাকে দলে দরকার আছে, সেভাবে ইচ্ছা আছে, সব ঠিকঠাক থাকলে এটা খেলার বিষয়।’
বিশ্বকাপের পর বেশ ব্যস্ত সূচি বাংলাদেশের। জুলাই-আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। এরপর আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা। সবগুলো দেশের বাইরে।
সাকিব টেস্ট সিরিজগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেবেন, ‘এখন টেস্ট বেশি খেলা হবে। স্বাভাবিকভাবে দৃষ্টি ওদিকেই চলে যাবে। সময়ের উপরই ছেড়ে দেই। সময় হলে সবাই সব জেনে যাবে।’