ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় শরীয়তপুরের পাইকারি মাছ বাজারগুলোতে দেখা মেলেনি ইলিশের।
বাজারে ইলিশ না থাকায় আগের চেয়ে বেড়েছে অন্য মাছের দাম। সরেজমিন মৎস্য আড়ৎদার ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।
আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) শরীয়তপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কোরাল, চিতল ৫৫০-৬৫০ টাকা,
সুরমা ২৫০-৩৫০, চিংড়ি ৮০০-১১০০ টাকা, পাঙাশ চাষের ২৫০-৩০০ টাকা, কৈ ৩০০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২০০ টাকা,
পোয়া মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৫৫০-৬৫০ টাকা ও পাবদা ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া নদীর মাছ বাজারে খুবই কম। এর কারণ হিসেবে জেলেরা জানিয়েছেন,
ইলিশ ধরা বন্ধে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদীতে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে।
এতে নদীতে মাছ ধরতে যাচ্ছেন না জেলেরা। ফলে অন্য মাছও বাজারে কমে গেছে।
ইলিশ ছাড়া অন্যান্য মাছের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে মাছ বিক্রেতা ইমন বেপারি বলেন,
‘এখন আগের চেয়ে সব কিছুতেই খরচ বেড়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবহন খরচ, বাজারে আড়ৎদারিও বেড়েছে।
আবার ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বৃহস্পতিবার থেকে পদ্মার মাছ পাইকারি বাজারে আসছে না।’
বাজারে মাছ কিনতে এসে মাছের দাম বৃদ্ধি দেখে মাছ না কিনেই বাড়ি ফিরছেন রাহাত আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন,
‘অভিযানের অজুহাতে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা সব মাছের মন গড়া দাম চাচ্ছে। এ অবস্থার অবসান করতে বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি করতে হবে।’
আরও পড়ুন :