মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনায় ১৬ জুয়েলারি দোকানে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি করেছেন মার্কেটটির জুয়েলারি সমিতির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
এ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি- বাজুস।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) মোবাইল ফোনে সময় সংবাদকে এ তথ্য জানান বাজুসের সহসভাপতি ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহিন।
তিনি বলেন,
ক্ষতিগ্রস্ত স্বর্ণের দোকানগুলোর তথ্য সংগ্রহ করতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তথ্য সংগ্রহ শেষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো হবে।
আর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান,
আগুন নেভাতে নেভাতেই কয়েক ঘণ্টার অগ্নিস্ফুলিঙ্গে তারা হারিয়েছেন ৫০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের মূল্যবান ধাতু।
মার্কেটটির জুয়েলারি সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, ‘বন্ধুদের ফোনের মাধ্যমে ভোরে আগুন লাগার খবর শুনি।
এরপর ঘটনাস্থলে এসে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। চোখের সামনেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেল। কিছুই বের করতে পারিনি।’
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন,
আমার নিউ হেনা জুয়েলার্স দোকানেই ৪ কোটি টাকার মাল (পণ্য) ছিল। এমন প্রায় প্রতিটা দোকানেই ২ থেকে ৫ কোটি টাকার জিনিস ছিল।
সব মিলিয়ে আনুমানিক প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মেয়র সাহেব যদি আমাদের দিকে না তাকান তাহলে আমরা শেষ হয়ে যাবো।
আমাদের দাবি, তারা আমাদের ক্ষতিপূরণ কিছুটা হলেও যেন দেন। তাহলে আমরা বাঁচতে পারবো।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, আগুনে পুড়ে গেছে কৃষি মার্কেটের নতুন কাঁচাবাজারের মার্কেটের সামনে থাকা ৭টি ও ভেতরে থাকা ৯টি স্বর্ণের দোকান মিলে মোট ১৬টি দোকান।
এর মধ্যে রয়েছে আলিফ জুয়েলার্স, হেনা জুয়েলার্স, দুবাই জুয়েলার্স, সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স, মুন জুয়েলার্স, রিয়াদ জুয়েলার্স এবং মা জুয়েলার্স।
এর আগে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ভোররাত ৩টা ৪৩ মিনিটে আগুন লাগে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ৬ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তাদের সহায়তা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অগ্নি নির্বাপনী সাহায্যকারী দল।
এছাড়া, ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেন পুলিশ, র্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
কৃষি মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। একটি মুদি দোকানের পাশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলেও জানান তিনি।