বিশ্বকে বদলে যাওয়া ভিন্ন এক বাংলাদেশ দেখাতে প্রস্তুত স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল। আগামী ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরদিন থেকে শতভাগ প্রস্তুত এ টানেলে
জনসাধারণ যাতায়াত করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন।
এরইমধ্যে টানেলের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক হারুন উর রশিদ।
সভায় শেষে সাংবাদিকদের সচিব বলেন,
এ সময় মোটরসাইকেল ও থ্রিহুইলার চলাচল নিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিজাইন অনুযায়ী টানেলের ভিতর ৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চলবে।
যেহেতু টানেল কনসেপ্ট আমাদের জন্য নতুন, ফলে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। টানেল অন্য যেকোনো ব্রিজ বা সড়কের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা।
সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হচ্ছে। সেই ধারণা থেকে এই মুহূর্তে বাইক ও থ্রিহুইলার চালানো টানেলের জন্য নিরাপদ হবে না।
এসব যান না চললে টানেলও নিরাপদ থাকবে এবং যারা টানেল ব্যবহার করবেন তারাও নিরাপদ থাকবেন।’
টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুন উর রশিদ বলেন, ‘টানেলের ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল কাজ শেষে হওয়ার পর প্রি কমিশনিং ও কমিশনিং দেখা হয়েছে।
এছাড়া সবগুলো সিস্টেম কাজ করছে কিনা কয়েকবার করে দেখা হয়েছে। মূল টানেলের কাজ শতভাগ শেষ।
তবে পুরো প্রকল্পের কথা বললে অগ্রগতি ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ। এপ্রোচ রোড, সার্ভিস এরিয়া, পুলিশ ফাঁড়ি নির্মাণ ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের কার্যক্রম চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টানেলে সাধারণ সময়ে যান চলাচলে ট্রায়াল কয়েকবার সম্পন্ন হয়েছে।
তবে দুর্যোগ ও জরুরি মুহূর্তের ট্রায়াল এ মাসের শেষে অথবা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় অংশীদারদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কমিশন তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়,
ডিআইজি নুরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন আহমেদ,
সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।
তাদের বক্তব্যে প্রকল্পের অগ্রগতি, নিরাপত্তা, ট্রাফিক শঙ্কাসহ নানা বিষয় উঠে আসে।
পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলীর অপর প্রান্তে আনোয়ারা পর্যন্ত দুই টিউব সংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।
আর এ টানেলের ভেতর দিয়ে নদীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ ৬ মিনিট সময় লাগবে।