মতলব উত্তরে গত দুই সপ্তাহের ও বেশি সময় ধরে অব্যাহতভাবে গরম আর তাপদাহ বেড়েই চলছে।
এর মধ্যে ১ মাস ধরে চলছে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। এ কারণে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
বারবার লোডশেডিং দেওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রেই স্থবরিতা বিরাজ করছে। এতে প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষজনসহ পশু পাখিও।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীসহ সাধারণ মানুষজন।
দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমিকজীবীসহ খেটে খাওয়া মানুষজনের। এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার বিদ্যুতের চাহিদা ২৪ মেগাওয়াট।
এর বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৮ থেকে ৯ মেগাওয়াট। এর ফলে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো গ্রাহক। প্রচন্ড গরমে সবচেয়ে বেশি বিপদে রয়েছে শিশু ও বয়স্করা।
মতলব উত্তরের ডিজিএম বলেন, উপজেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ২৪ মেগাওয়ার্ট।
চাহিদার বিপরিতে বরাদ্দ ১৫ মেগাওয়াট কম। ফলে অনেক স্থানে স্বাভাবিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কোথাও আধা ঘণ্টা আবার কোথাও এক ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ছেংগারচর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন বলেন,
আধাঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্রেতার সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
এ সময় বিদ্যুতের এমন লোডশেডিং চরম বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
প্রচন্ড গরম আর লোড শেডিংয়ের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
বিদ্যুৎ ঘন ঘন যাওয়া-আসা করায় রোগী এবং তাদের স্বজনরা চরম অস্বস্তিতে রয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা ডিজিএম মোঃ সামছু উদ্দিন বলেন, তাপদাহ কারনে বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় বেশি।
চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। অবস্থা উত্তরণের চেষ্টা চলছে।