ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গু। প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে মানুষ। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৬৫৭ জন।এর মধ্যে রয়েছে ৭৫টি শিশু, যাদের বয়স ১৫ বছরের কম।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সরেজমিন ঢাকার শিশু হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাই বেশি।
তিন বছরের সায়মা রাফা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নয় দিন ধরে ভর্তি রয়েছে এখানে।
বাসায় ফেরার জন্য কান্না করায় সায়ামার পুতুল আর বালিশ হাসপাতালেই এনে দিয়েছেন বাবা।
শিশু সায়েমার মা জানান, প্লাটিলেট আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
পরীক্ষার জন্য আবার রক্ত নিয়েছে। এ পরীক্ষার পর রিপোর্ট দেখে ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত জানাবেন।
সায়মার মতো একই পরিস্থিতি ডেঙ্গু আক্রান্ত অন্য শিশুদেরও।
জ্বর, খাওয়ায় অরুচি, প্লাটিলেট কমে যাওয়া, দুর্বলতা নিয়ে দিনের পর দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই কাটছে দিন।
হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের স্বজনরা জানান, হঠাৎ করে জ্বর আসে।
জ্বর কমছিল না, সঙ্গে বমিও ছিল। তখন হাসপাতালে নিয়ে এলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
শিশুদের পর্যাপ্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার না খাওয়া আর দেরিতে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কারণে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. রিদওয়ানুর রহমান বলেন, ‘সঠিক সময়ে যদি আমরা বাচ্চাদের হাসপাতালে নিতে পারি, তাহলে ওদের মৃত্যু ঝুঁকি কমে যাবে।
সাধারণত ডেঙ্গু মারাত্মক হয় যখন জ্বর চলে যায়। জ্বর চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর বা এক দিনের মধ্যে বেশি সমস্যা দেখা দেয়।’
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে।
পাশাপাশি দ্রুত হাসপাতেলে ভর্তি করা হলে কমবে শিশু মৃত্যুর হার।
চলতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৩০২ জন।
আক্রান্তদের ৩২ শতাংশই শিশু-কিশোর বলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য থেকে জানা যায়।
আরও পড়ুন :