গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি খেতে পছন্দ করেন অনেকেই।
ঘি শুধু স্বাদে এবং গন্ধে অতুলনীয় নয়, এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে অনেক।
রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে ঘি’য়ের জুড়ি নেই। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন, খনিজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
এর পাশাপাশি শরীরের প্রতিটি পেশি শক্তিশালী করে, মেদ ঝরায়, হাড় মজবুত করে, শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখে।
অনেকের ধারণা, ঘি খেলেই ওজন বাড়ে।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, ইচ্ছেমতো খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে।
কিন্তু নিয়ম করে খেলে শুধু ওজনই নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নয়।
পাশাপাশি আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে।
প্রতিদিন ঘি খেলে কী হয়-
প্রতিদিন ঘি খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, ঘি শরীরকে ভেতর থেকে গরম করতে সাহায্য করে এবং ঠান্ডার জন্য উপকারি।
নাকের ছিদ্রে কিছু ঘি লাগালে সংক্রমণে দ্রুত উপশম হবে।
ঘিতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ ও জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
ফলে এটি বদহজমের সমস্যা কমাতেও কাজে লাগে।
বাত ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সহায়ক। ঘি খেলে এই সব ব্যথা কমতে পারে।
ঘিতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে ।
হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফোলাভাব কমায়।
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পেটের বহু সমস্যাই কমে এর কারণে।
ত্বক, চুল ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। তবে পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত।
অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়ে। তাই প্রতিদিন এক চামচের বেশি খাওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন :