বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল ইউনিয়নের সম্পূর্ণ এবং
হাটশেরপুর, সদর, কুতুবপুর, চন্দনবাইশা, কামালপুর ইউনিয়নের ১২২টি চরের বাড়িঘরে পানি উঠেছে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠেছে।
বুধবার বিকাল ৩ টায় সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৬.২৮ মিটার।
এতে করে পানি বেড়ে ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
আর বাঙালি নদীর পানি বুধবার উচ্চতা ছিল ১৪.৩৬ মিটার।
নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৩৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে, পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় এ উপজেলার ৫ হেক্টর জমির আমন ধান,
১ হেক্টর জমির স্থানীয়জাতের গাইঞ্জা ধানের বীজতলা এবং ০.৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের সবজি পানিতে আক্রান্ত হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার থেকে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও
ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালাপুর ইউনিয়নের যমুনা নদীর বন্যা
নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নেয়া এলাকাবাসী তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।
ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা অব্যাহত রেখেছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা এবং কামালপুর গ্রামে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
কয়েক দিনের পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ধলিরকান্দি, নীজ কর্ণিবাড়ী, বয়রাকান্দি,
বড় কুতুবপুর এবং পার দেবডাঙ্গা গ্রামের বাড়িঘরে পানি উঠেছে এবং এসব এলাকার লোকজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের সুজালীর পাড়া, চর দলিকা, হাটবাড়ী, সুজনের পাড়া,
শিমুলতাইড় এবং মানিকদাইড় চরের বেশ কিছু পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠেছে এবং কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়েছে।
কাজলা ইউনিয়নের কুড়িপাড়া, কাজলা, বাওইটোনা, উত্তর টেংরাকুড়া, দক্ষিণ টেংরাকুড়া, এবং জামথল চরের নিম্নঅঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
বোহাইল ইউনিয়নের উত্তর শংকরপুর, দক্ষিণ শংকরপুর এবং
ধারাবর্ষা চরসহ বেশকিছু চরের বেশকিছু বাড়িঘরে পানি ওঠার খবর পাওয়া গেছে।
কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের নান্দিনার চর, ইন্দুরমারা, ডাকাতমারা, শোনপচা চরে পানি উঠেছে এবং অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়েছে।
এসব এলাকার বাসিন্দারা তাদের ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং
তাদের গৃহপালিত গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ, আশ্রয়কেন্দ্র অথবা উঁচু কোথাও আশ্রয় নিয়েছেন।