মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেছেন, ‘দেশে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে, তবে এখনও এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে।
এ অবস্থায় প্রয়োজন হলে সুদের হার আরও বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
এতে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য সুদহার আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সুদহার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান।
পাওয়েল বলেন,
যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার আরও বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছে।
এর আগে গত মাসের ২৭ জুলাই ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সবশেষ সুদের হার বাড়িয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক; যা ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
সে সময় দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১১ বারের মতো সুদহার বাড়াল মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ।
শূন্য দশমিক ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আগে যা ছিল ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।
মূলত দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সুদহার বাড়িয়ে ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ।
এ ছাড়া দেশটিতে বেকারত্বও স্মরণকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ফেডারেল রিজার্ভ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চলমান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৭ মাসে ১১ বারের মতো নীতি সুদের হার বাড়িয়েছে।
ভবিষ্যতে সুদের হার আরও বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সে সময় বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভবিষ্যতে সুদহার বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।
তবে মূল্যস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। মূল্যস্ফীতিকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনতে আমাদের এখনও অনেক কাজ করতে হবে।’
পাওয়েল আরও জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের বৈঠকে আবারও বাড়তে পারে সুদের হার। তবে সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়।
আর চলতি বছরের মে মাসেও সুদহার বাড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি।
সেবারও শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ সুদহার বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। যেটি ছিল ১৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।