মুন্সীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে মো. খোকন (৩৫) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফায়জুন্নেসা এ রায় দেন।
এ সময় আসামিকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়। এছাড়া একইসঙ্গে মরদেহ গুম করার দায়ে ২০১ ধারায় ওই আসামিকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও সাত হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খোকন সিরাজদিখান উপজেলার পাউসার গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট লাবলু মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বিকালে কিশোরী লায়লা আক্তার লিমু (১৭) জামা বানাতে শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী বাজারে চাঁন সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় টেইলার্সের দোকানে যায়।
এ সময় আসামি মো. খোকন সেখানে কৌশলে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এরপর মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের ইছামতি নদিতে ফেলে দিয়ে গুম করেন খোকন।
ঘটনার তিন দিন পর ৩১ আগস্ট মরদেহ উদ্ধারের পর সন্দেহজনক খোকনকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করে। তার দোকানে জমাট বাঁধা রক্তও দেখা যায়।
এরপর দিন বাড়ৈখালী গ্রামের লিমুর বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার প্রায় তিন বছর পর বাদী মৃত্যুবরণ করেন।
পরে লিমুর বড়ভাই রিপন মিয়াসহ মোট ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর আজ এ রায় দেন আদালত।
রায়ে আদালতে উপস্থিত লিমুর বড় ভাই রিপন মিয়া ও ফুফু নাসিরন বেগম সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এদিকে আদালতে রায়ের সময় আসামি মো. খোকন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আসামির বাবা বাবুল মিয়া জানান, এ রায়ের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা।
আরও পড়ুন :