দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৩। এতে একজন নিহত হয়েছেন।
এদিকে ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে কলম্বিয়ার রাজধানীর বাসিন্দারা বাড়িঘরের বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)।
তবে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.১ ছিল বলে জানিয়েছে কলম্বিয়ার জাতীয় ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা।
অবশ্য ভূমিকম্প থেকে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনও তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
রাজধানী বোগোটার কাছেই কাজ করেন ৪৩ বছর বয়সী অ্যাড্রিয়ান অ্যালারকন।
তিনি বলেছেন, ‘এটি (ভূমিকম্প) শক্তিশালী ছিল এবং দীর্ঘ সময় ধরে চলেছিল। আমি আতঙ্কগ্রস্ত।
জীবন এক সেকেন্ডে বদলে যায়। কিছুই করার থাকে না, জীবন বাঁচানোর জন্য শুধু দৌড়ানোই তখন কাজ।’
এদিকে ভূমিকম্পের জেরে কলম্বিয়ার রাজধানীতে এক নারী নিহত হয়েছেন।
আগে টুইটার নামে পরিচিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বোগোটার মেয়র ক্লডিয়া লোপেজ বলেছেন,
রাজধানীর দক্ষিণ-পূর্বে এই ট্র্যাজেডি আঘাত হানে এবং সেখানে ভূমিকম্পের সময় এক নারী জানালা থেকে নিচে পড়ে মারা যান।’
লোপেজ বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে দুঃখিত:
ভূমিকম্পের সময় এক নারী ম্যাডেলেনার একটি আবাসিক ভবনের ১০ তলা থেকে লাফ দেন,
আর সেটি স্পষ্টতই আতঙ্কের কারণে। আমরা মেডিকেল টিম নিয়ে ওই বাড়িতে যারা তার সাথে ছিল তাদের সাথে আছি।’
অন্যদিকে কলম্বিয়ার কংগ্রেস তাদের চেম্বার অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে।
তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে চেম্বার অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এক্স-এ পোস্ট করা একটি বার্তায় উল্লেখ করেছে।
কলম্বিয়ার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে,
রাজধানী বোগোটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ক্যালভারিও পৌরসভা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পে ওই এলাকার বাড়িঘরের জানালাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া কাছাকাছি ভিলাভিসেনসিওতে ভূমিধসের খবর দিয়ে এই সংস্থাটি বলেছে, তাদের কর্মীরা আরও ক্ষয়ক্ষতি শনাক্তের জন্য পরীক্ষা করছে।
রয়টার্স বলছে, ভূমিকম্পের প্রাথমিক কম্পনের কয়েক মিনিট পর আফটারশক অনুভূত হয়
এবং সেসময়ই শহরের লোকজন আতঙ্কে রাস্তায় ভিড় করেন।
কলম্বিয়ার জাতীয় ভূতাত্ত্বিক পরিষেবা দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ৫.৬ মাত্রায় ছিল বলে ধারণা করছে।
এছাড়া এর পরের আফটারশকটি ৪.৮ মাত্রার ছিল বলেও জানানো হয়েছে।