সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নগদ লিমিটেড সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির প্রথম দিনেই দেশবাসীর জন্য ২০২৩ সালে পরিশোধিত সম্পূর্ণ চাঁদাই আগামী বছরের শুরুতে লাভসহ ক্যাশব্যাক দেয়ার অফার ঘোষণা করেছে।
চলতি বছরের বাকি মাসগুলোতে যারা পেনশনের চাঁদার টাকা নগদ ওয়ালেটের মাধ্যমে সরকারি হিসাবে জমা করবেন,
তারাই কেবল আগামী জানুয়ারিতে প্রদেয় এই লাভসহ ক্যাশব্যাক সুবিধার আওতায় আসবেন।
এ ছাড়া সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচিকে জনপ্রিয় করতে সরকারি অংশীদারিত্বের আর্থিক সেবা হিসেবে শুরু থেকে একটি সহায়ক ভূমিকায় থাকার ঘোষণা দিয়েছে নগদ।
ক্যাশব্যাক দেয়ার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের পর দেশ স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার এমন একটি জনহিতকর কাজ হাতে নিয়েছে। নগদ শুরু থেকে সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণকর উদ্যোগে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
চলতি বছরের বাকি মাসগুলোতে পেনশনের চাঁদা নগদের মাধ্যমে প্রদান করলে সমপরিমাণ টাকা আগামী বছরের শুরুতে গ্রাহকদের লাভসহ ক্যাশব্যাক হিসেবে প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মানুষ যাতে সরকারের এই মহতী উদ্যোগে সাড়া দিয়ে নিজেদের অবসর জীবনকে নিশ্চিত করতে পারে, তার জন্য নগদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।’
নগদের মাধ্যমে চাঁদা পেমেন্ট পদ্ধতি
নগদ জানায়, ‘প্রথম দিন থেকে ঘরে বসে নিমেষে পেনশন কর্মসূচির আওতায় চাঁদা পরিশোধ করার পদ্ধতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নগদ।
নিবন্ধনের পর একটি নম্বর পাওয়া যাবে, যা দিয়ে সব সময় চাঁদা পরিশোধসহ আনুষঙ্গিক সব কাজ করতে হবে।
https://www.upension.gov.bd/Public/Packages এই ওয়েব ঠিকানায় ব্রাউজ করলে পেনশন কর্মসূচির চাঁদা প্রদানের জন্য পেমেন্ট অপশনে পৌঁছে যাবেন গ্রাহক।
সেখান থেকে মোবাইল ব্যাংকিং অপশনে গিয়ে ‘নগদ’ নির্বাচন করে পেনশনের চাঁদা পরিশোধ করা যাবে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্রথমবারের মতো দেশে সর্বজনীন এই পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
আপাতত চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার।
বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি,’ স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা,
’ প্রবাসীদের জন্য ‘প্রবাসী’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করেছে।
সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি এমনভাবে করা হয়েছে যাতে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী দেশের সব নাগরিকই এ ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারেন এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তারা আজীবন পেনশন পেতে পারেন।
‘প্রগতি’ ও ‘সুরক্ষা’ কর্মসূচির আওতায় মাসিক চাঁদা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার থেকে ৫০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
‘প্রবাসী’ কর্মসূচিতে মাসিক চাঁদা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা।