ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে সেনা ও বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই চলছে।
এর মধ্যে একটি শহরে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
সেনাবাহিনীর চালানো এই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে।
নিহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক বলে মনে করা হচ্ছে।
আহত হয়েছে আরও ৫৫ জন। এর মধ্যে ৪০ জনের অবস্থা গুরুতর।
আমহারা ইথিওপিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য। সম্প্রতি এই অঞ্চলে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়।
মূলত স্থানীয় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফানো মিলিশিয়ার বিরুদ্ধে লড়ছে ইথিওপিয়ার সরকারি বাহিনী ইথিওপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (ইএনডিএফ)।
ফানো এমন একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী যার কোনো আনুষ্ঠানিক ‘কমান্ড’ কাঠামো নেই।
গোষ্ঠীটি পার্শ্ববর্তী তাইগ্রে অঞ্চলে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধে ইথিওপিয়ার সেনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিল।
গত বছরের নভেম্বরে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে দুই বছরের ওই গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
তবে সম্প্রতি ফানো মিলিশিয়ার সঙ্গে সরকারি বাহিনী ইএনডিএফের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে।
গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন মতে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ফানো মিলিশিয়া এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটা শহর দখল করে নেয়।
এরপরই সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘাত শুরু হয়।
কয়েকদিনের তীব্র সংঘর্ষের পর গত ৪ আগস্ট এই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার।
সেই জরুরি অবস্থা এখনও জারি রয়েছে।
গত রোববার (১৩ আগস্ট) আমহারা অঞ্চলের পশ্চিমে ফিনোত সেলাম শহরের কেন্দ্রে বিমান হামলা চালানো হয়।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, শহরটি ফানো মিলিশিয়া গোষ্ঠীর অধিকারে রয়েছে।
তাদের সঙ্গে ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীর লড়াই চলছে।
এরপর সোমবার থেকে ইথিওপিয়ার পার্লামেন্টে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
জরুরি অবস্থা চলার সময় বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার, তল্লাশি ও কারফিউ আরোপের অধিকার কর্তৃপক্ষকে দেয়া হবে কিনা এগুলোই প্রধান আলোচ্য।
সরকার স্বীকৃত ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন বলেছে, আমহারাতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন শহরের আশেপাশে সরকার ও ফানো মিলিশিয়ার মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে।
প্রতিনিয়ত কামান থেকে গোলা ফেলা হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে। সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে।