শেষ মুহূর্তে রণনীতি বদল। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ছক্কা হাঁকানোর’ হুমকিকে তুড়ি মেরে রাজনীতির পিচে ‘দুসরা’ ছাড়ল বিরোধী দল কংগ্রেস ।
বহুদিন পর যেন ‘ক্যাপ্টেন’কে মাঠে ফিরে পেয়ে চনমনে হয়ে উঠেছে ভারতের প্রাচীনতম দল কংগ্রেস, সঙ্গে আছে নতুন জোট ‘ইন্ডিয়া’।
মঙ্গলবার লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কের শুরুতেই বিজেপি নেতাদের চমকে দিয়ে রাহুল গান্ধীর পরিবর্তে দলীয় এমপি গৌরব গগৈ আলোচনায় অংশ নেন। তা নিয়ে হইচই শুরু করেন বিজেপির সদস্যরা।
গুঞ্জন ছিল,
অনাস্থা আলোচনার শুরু করবেন সদ্য সংসদ সদস্য পদ ফিরে পাওয়া রাহুল।
সেই মতো রাহুলের ঢাল হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং একসময়ের গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বক্তার তালিকায় রেখেছে বিজেপি।
কিন্তু এদিন আচমকাই রাহুলের বদলি হিসেবে গগৈ ভাষণ দিতে ওঠেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা,
প্রথমদিনই আলোচনায় রাহুলকে ময়দানে নামালে হট্টগোল করে পুরো ব্যাপারটা ভেস্তে দিতে পারে বিজেপি।
তাই সরকারপক্ষের তাবড় নেতাদের বক্তব্যের শেষে গুগলি ছাড়তে মাঠে নামতে পারেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি।
সে কারণে মোদির ছক্কা মারার কটাক্ষের একটু রয়েসয়ে জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন সোনিয়া-পুত্র।
অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বিতর্কের আগেই এদিন সকালে বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠক হয়।
সেখানে উপস্থিত সাংসদদের নরেন্দ্র মোদি বলেন,
‘আমরা শেষ বলে ছক্কা মারব। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’
মোদি আরও বলেন,
‘ইন্ডিয়া জোট যে অনাস্থা এনেছে, সেটা ওদের একটা কর্মসূচি।
কিন্তু এটাই আমাদের কাছে একটা সুযোগ,
আর সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বিজেপি।
দেশকে দুর্নীতিমুক্ত ও পরিবারবাদী রাজনীতি থেকে মুক্ত করার যে স্লোগান এনডিএ নিয়েছে, তা থেকে আমরা সরব না।
বিরোধীদের জোট পারস্পরিক অবিশ্বাসে জর্জরিত।’
আরও পড়ুন: