1. aoroni@nobanno.com : AORONI AKTER : AORONI AKTER
  2. admin@hostitbd.xyz : hostitbd :
  3. admin@nobannotv.com : NobannoTV : admin Nobannotv
১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা — Nobanno TV
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন

১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫
  • ৫৯ বার পঠিত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বড় ধাক্কা: ট্রাম্পের আদেশে ১২ দেশ থেকে প্রবেশ নিষিদ্ধ

১২ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ, আরও ৭ দেশের জন্য কড়া ভ্রমণ বিধিনিষেধ জারি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১২টি দেশের নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি আরও সাত দেশের নাগরিকদের ওপর কঠোর ভ্রমণ বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার (৪ জুন) এক নির্বাহী আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (৫ জুন) আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রকাশ করে। হোয়াইট হাউজের বরাতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী সোমবার (৯ জুন) থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।

সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন ১২ দেশ:

১. আফগানিস্তান
২. চাদ
৩. কঙ্গো
৪. ইকুয়েটোরিয়াল গিনি
৫. ইরিত্রিয়া
৬. হাইতি
৭. ইরান
৮. লিবিয়া
৯. মিয়ানমার
১০. সোমালিয়া
১১. সুদান
১২. ইয়েমেন

অতিরিক্ত ভ্রমণ বিধিনিষেধের আওতাধীন ৭ দেশ:

১. বুরুন্ডি
২. কিউবা
৩. লাওস
৪. সিয়েরা লিওন
৫. টোগো
৬. তুর্কমেনিস্তান
৭. ভেনেজুয়েলা

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আমাকে এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।”

এই নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধের ফলে লক্ষাধিক মানুষের ভ্রমণ পরিকল্পনায় প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতীয় নিরাপত্তার নামে নিষেধাজ্ঞা: শুরু থেকেই ট্রাম্পের লক্ষ্য মুসলিম দেশ?

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে “জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার পদক্ষেপ” হিসেবে তুলে ধরেছেন। তবে অনেকেই মনে করেন, এটি মূলত মুসলিমপ্রধান দেশগুলোকে লক্ষ্য করে গৃহীত একপক্ষীয় নীতি।

২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা উচিত। তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

আদালতের চ্যালেঞ্জ এবং নিষেধাজ্ঞার রদবদল

ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিকের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিভিন্ন আদালতের বাধার মুখে পড়ে। এরপর ২০১৮ সালে একটি সংশোধিত নিষেধাজ্ঞা পেশ করা হয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট) বৈধ ঘোষণা করে।

এই নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত ছিল:

  • ইরান

  • সোমালিয়া

  • ইয়েমেন

  • সিরিয়া

  • লিবিয়া

  • উত্তর কোরিয়া (কিছু সরকারি কর্মকর্তা)

  • ভেনেজুয়েলা (কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্য)

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর উদ্বেগ

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও অভিবাসী সংগঠন এই নিষেধাজ্ঞাকে বর্ণবাদী ও ধর্মভিত্তিক বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বহুত্ববাদ ও মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ
© All rights reserved © 2023 nobannotv.com
Design & Development By Hostitbd.Com