নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন হোসাইনকে (৪২) গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার পূর্ব লালপুর রেললাইন এলাকায় তাঁর ইট-বালুর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মামুনের বড় ভাই আমজাদ হোসেনের ভাষ্য, মামুন বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। আজ ভোরে তাঁকে কে বা কারা বাসা থেকে ডেকে তাঁর মা-বাবার দোয়া ট্রেডার্স নামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
গুলির শব্দ শুনে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে ভাইয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যার নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। তিনি তাঁর ভাই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আজাদ মিয়া বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ইট-বালু ও সিমেন্ট লোড-আনলোড শেষে মামুন তাঁর বাসায় চলে যান।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহতের চোখে আঘাতের চিহ্ন আছে। সেটি গুলি নাকি অন্য কিছুর আঘাত, তা ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।