২০২৫ সালকে স্বগত জানাচ্ছে বিশ্ব। মঙ্গলবার সবার আগে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপদেশ কিরিবাতি। এরপর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল আতশবাজির মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
স্থানীয় সময় মধ্যরাতে ঘড়ির কাটা ১২টা বাজাতেই আতশবাজির মধ্যদিয়ে ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের মানুষ। অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলের এক হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতার স্কাই টাওয়ার থেকে ছড়িয়ে পড়ে আতশবাজির বর্ণিল ছটা। উৎসবে মেতে উঠে মানুষ।
এরপরই বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও বড় আতশবাজি প্রদর্শনের মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আলো ঝলমলে ও আকর্ষণীয় আতশবাজির মধ্যদিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে সিডনিবাসী।
ঘড়ির কাঁটায় স্থানীয় সময় রাত ১২টা বাজতেই সিডনির অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজ থেকে ছোঁড়া হয় বর্ণিল আলোকচ্ছটা ও আতশবাজি। জমকালো আতশবাজি উপভোগ করতে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। সেখানে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জমায়েত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবারের বর্ষবরণে প্রায় ৬৩ লাখ ডলার খরচ করা হয়েছে। ফোটানো হয়েছে নয় টন আতশবাজি। প্রথমবারের মতো, শোতে মাঝ আকাশ থেকে ড্রোনের মাধ্যমে আতশবাজি ফোটানো হয়েছে। হারবার ব্রিজের পশ্চিম দিক থেকে প্রদর্শন দেখানো হয়েছে।
এরপর নতুন বছরে পা দিয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। তারপর আছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। এভাবে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ২৫টি দেশ একে একে স্বাগত জানাচ্ছে নতুন বছরকে।
এদিকে, সবার শেষে বর্ষবরণ করবে প্রায় জনমানবহীন মার্কিন অঞ্চল হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের হাওল্যান্ড ও বেকার দ্বীপের বাসিন্দারা। ১ জানুয়ারি স্থানীয় দুপুর ১২টায় ওই এলাকায় ২০২৫ সালের আগমন জানানো হবে।