পদ্মা সেতুর টোল আদায় হাজার কোটি টাকার ছাড়িয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত পদ্মা সেতু চালুর ৪৫৩ দিনে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার কোটি ৯২ হাজার ১৫০ টাকা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এই টোল আদায়ের পাশাপাশি মানুষের যোগাযোগে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে স্বপ্নের সেতু।
স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতু বাঙালির অগ্রযাত্রার স্মারক। সেতু বদলে দিয়েছে লাখ লাখ মানুষের ভাগ্য। সেই সঙ্গে পদ্মা সেতুর টোল আদায়ও হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে।
এরপর এক মিনিটের জন্যও সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়নি। ফলে টোল আদায়ে ৪৫৩ দিনেই হাজার কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করতে সক্ষম হয়।
এই সময়ে ৭২ লাখ ৯৬ হাজার ৬২২টি যান পারাপার হয়।
এছাড়া প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হয় ২ কোটি ২০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি।
বিড়ম্বনার পরিবর্তে ৭-৮ মিনিটেই বিশাল পদ্মা পাড়ি দিতে পারায় উচ্ছ্বসিত মানুষ।
বরিশালে তৌফিক হাসান বলেন, একটি সেতু বিশাল অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জন্য কত বড় আশীর্বাদ হতে পারে তার জ্বলন্ত প্রমাণ পদ্মা সেতু।
আর ফরিদপুরের ভাঙ্গার হেলাল উদ্দিন বলেন, এখন সড়ক পথেই প্রতিদিন ঢাকায় গিয়ে অফিস করা সম্ভব।
আর পদ্মা সেতু দিয়ে রেলপথ চালু হলে সেটি তো হবে আরেক বড় স্বপ্ন পূরণ।
খুলনার বিউটি আক্তার বলেন, পদ্মা সেতু এখন আমাদের খুলনার সঙ্গে রাজধানীর সেতু বন্ধন তৈরি করে আর্থসামাজিক অবস্থার বড় পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
গোপালগঞ্জে মাকসুদপুরের কৃষক নাজিম মিয়া বলেন, ফলনের দর ভালো পাওয়া যাচ্ছে পদ্মা সেতু চালুর পর। তাই ক্ষেতও বাড়াইয়া দিছি।
শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছুতে সাফল্য আর বড় পরিবর্তন। পাল্টে গেছে জীবনযাত্রার মান।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী, শুধু রাজস্ব আদায়ের মাইলফলকই নয়ই,
সেতু দক্ষিণের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এবং দেশের অনেক সক্ষমতা সৃষ্টি করেছে।
মুন্সীগঞ্জ- ২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন,
পদ্মা সেতু দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির চাকায় গতি আনতে সক্ষম হয়েছে। পদ্মা পাড়ি দেয়া এখন আর বিড়ম্বনা নয়, সম্ভাবনা।