মহান মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক,বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিক সহচর আওয়ামী লীগ বর্ষিয়ান রাজনীতিক নেতা প্রয়াত সাইদুর রহমান সরকার ছন্দু মিয়ার ৫০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে
নরসিংদী সহ বিভিন্ন জেলায় স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে নরসিংদী জেলার রায়পুরার বাশঁগাড়ী সহ দেশের পৃথক স্থানে
সমাজ সেবক সাইদুর রহমান সরকার (ছন্দু মিয়া) ফাউন্ডেশন,বাশঁগাড়ী কলেজ, চর মেঘনা প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে
প্রয়াত সাইদুর রহমান সরকার ছন্দু মিয়ার ৫০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বরন সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাঁশগাড়ী কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলহাজ্ব সালেহা ইসলাম জানান,
নরসিংদীর কৃতি সন্তান বঙ্গবন্ধুররাজনীতি সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের বর্ষিয়ান নেতা প্রয়াত সাইদুর রহমান সরকার ছন্দু মিয়ার স্বরনে
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৫০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বরন সভা ও দোয়া মাহফিল পালন করা হয়ে থাকে।
ছন্দু মিয়ার সহধর্মিণী নরসিংদী জেলার শ্রেষ্ট জয়ীতা মোছা: জামিলা খাতুন সরকার, তার ৩মেয়ে, ৪ছেলের মধ্যে বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান
ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান সাহেদ সরকার মৃত্যু বরণ করেন।
মেজু ছেলে বিসিএস একাডেমি অতিরিক্ত সচিব ও সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোকলেছুর রহমান সরকার ফরিদ,
মোকলেছুর রহমান সরকার ফরিদ এর সহধর্মীনি অতিরিক্ত সচিব ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার
ও সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক উম্মে সালমা তানজিয়া,বাঁশগাড়ী কলেজ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য
ও সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আলহাজ্ব সালেহা ইসলাম, সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইটালী প্রবাসী সাবিহা খাতুন সরকার,
সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুর রহমান জাহাঙ্গীর সরকার।
তার সম্মানে ছন্দু মিয়ার নামে রায়পুরা টু বাশঁগাড়ী রোডে ১টি নান্দনিক তোরণ নির্মান করা হয়।
তার নামে সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা লাভ করা হয়।
সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব ফাইজুর রহমান সরকার এর অর্থ্যায়নে গাজীপুরে বিশাল আকারে বৃদ্ধাশ্রম নির্মান করা হয়।
সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নরসিংদী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময়
ঘরবন্ধির মানুষ জন্য খাদ্য সামগ্রী ও হাসপাতালে অক্রিসিজেন সিলিন্ডার সহ ঔষধ সামগ্রী বিতরন করা হয়।
তার নামে সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সময় এলাকার অসহায় মানুষের পাশে থেকে মসজিদ,মাদ্রাসা,স্কুল,কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন।
এলাকাতে চিকিৎসা সেবার জন্য এম্বোলেন্স প্রদান করেন। এলাকার প্রাইমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়।
সমাজ সেবক ছন্দু মিয়া ফাউন্ডেশন শুধু নিজ এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলাতে উন্নয়ন মুলক কার্য্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ছন্দু মিয়ার এক ছেলে বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রয়াত হাফিজুর রহমান (সাহেদ সরকার)
ছন্দু মিয়া তৎকালিন মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের এলাকাতে জীবন বাজি রেখে নিজ বাড়ীতে ব্যক্তিগত অর্থ্যায়নে
মুক্তিযোদ্ধের জন্য লংগরখানা খুলে খাবার-দাবার সহ সব ধরনের ব্যবস্থা করেন।
তিনি মুক্তিযোদ্ধেরকে ভারতে প্রেরন করে বলিষ্ট সাহসি ভুমিকা পালন করেন।
যুদ্ধের পরে মুক্তিযোদ্ধা নামধারী সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে এলাকাতে নারী ধর্ষন, চুরি,ডাকাতি,হত্যা সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ মুলক কর্মকান্ড বেড়ে যায়।
ছন্দু মিয়ার নেতৃত্বে ,বাচ্চু চেয়ারম্যান, আব্দুল আওয়াল চেয়ারম্যান সহ কয়েক জন মিলে কঠিন সাহসি পদক্ষেপ নিলে
এলাকা থেকে ডাকাতি নির্মূল করতে গেলে ডাকাতরা অস্ত্র নিয়ে তাকে মেরে ফেলার জন্য কয়েক বার হামলা করেন।
চিহ্নিত ডাকাতদেরকে উচ্ছেদ করেন। কঠিন সাহসি ভুমিকা রেখে ডাকাতি বন্ধ করে সারা দেশের মধ্যে তিনি সাহসি নেতা হিসেবে বিশেষ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কাছে সৎ সাহসি দক্ষ রাজনীতিক সংগঠক হিসেবে এলাকায় আওয়ামী লীগের সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে অনেক অবদান রাখেন।
তিনি এলাকাতে ব্যাপক উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডের অনেক পরিকল্পনা গ্রহন করে ছিলেন,
তার মৃত্যুর পর তার ছেলে- মেয়েরা তার স্বপন বাস্তবায়ন করতে এলাকায় উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে ।