চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন বাজারে এবং পাড়া মহল্লায়, দীর্ঘদিন থেকে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের মাধ্যমে,
উঠতি বয়সী তরুন ও স্কুল-কলেজের ছাত্ররা টাকার বিনিময়ে লুডু খেলে আসছেন।
এই খেলাটি বর্তমানে সকল শ্রেণীর যুবকদের নেশা এবং পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমান সময়ে যুবক থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে ও পকেটে অ্যান্ড্রয়েড বা স্মার্টফোন,
এসব ফোনে বিভিন্ন সফটওয়ার অ্যাপসের সাহায্যে লুডু, গেমস খেলাসহ নানা ধরনের কাজ করা যায়।
সম্প্রতি লুডু নামের একটি অ্যাপস খুব অল্প সময়ে বেশি পরিচিতি লাভ করেছে।
এ লুডু কাগজের তৈরি লুডুর মত সহজেই খেলা যায়, বলে শিক্ষার্থীরা লুডু অ্যাপসটি ইনষ্টল করে খেলতে পারে।
সহজলভ্য আর সহপাঠি নিয়ে খেলা যায় বলে বাজিতে আকৃষ্ট হচ্ছে অনেকে।
বিভিন্ন সূত্রে মাধ্যমে আজ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোবাইল লুডু জুয়া মতলব উত্তর উপজেলা,
ছেংগারচর পৌরসভা, ছাড়া ও অন্যসব ইউনিয়ন গুলোতে ভয়াবহ রুপ ধারন করতে যাচ্ছে।
বিষয়টি এমন পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে যা ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হতে পারে,
দুই তিন জন এক মোবাইল দেখলেই খেয়াল করে দেখা যাবে তারা টাকার বিনিময়ে মোবাইল লুডু খেলছে।
গেম প্রতি ২০ টাকা থেকে শুরু করে জন প্রতি হাজার টাকা বাজীতে খেলছে, এই খেলা এক সাথে সর্বোচ্চ চারজন খেলা যায়।
অ্যাপটি ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের তিনমাথা মোড়ে, পুকুর পাড়ে, চায়ের দোকানসহ
বিভিন্ন স্থান বেছে নিয়ে খুব সহজেই একটি চক্র প্রায় দিনই এই লুডু জুয়ার আসর বসাচ্ছে।
এই খেলার আসরে আকৃষ্ট হয়ে তরুন যুবকরা নিমিষেই হাজার হাজার টাকা হারছে বাজি ধরে,
এবং দৈনন্দিন পড়াশুনা, কাজকর্ম বাদ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটাচ্ছে এসব স্কুল,
কলেজ পড়ুয়া তরুনরা লুডু নামক জুয়ার আসরে, ফলে একদিকে অর্থ অপচয়
অন্যদিকে ধংস হচ্ছে তাদের মেধা ও জ্ঞান, অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে উজ্জল ভবিষ্যৎ, নষ্ট হচ্ছে সময়।
এভাবে চলতে থাকলে যুব সমাজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌছাবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
সানসাইন একাডেমির সিনিয়র শিক্ষক মোঃ জনি সরকার বলেন, মোবাইল জুয়া বন্ধে জনসচেতনা বাড়াতে হবে।
এর সাথে সবাই যার যার জায়গা থেকে সকল প্রকার জুয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
পাশাপাশি সকল ধরনের জুয়া বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা একান্ত জরুরি।