1. aoroni@nobanno.com : AORONI AKTER : AORONI AKTER
  2. aporna@gmail.com : Aporna Halder : Aporna Halder
  3. admin@hostitbd.xyz : hostitbd :
  4. admin@nobannotv.com : nobannotv.com : Nobannotv com
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা — Nobanno TV
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪১ বার পঠিত

নরসিংদী জেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ২০২৪ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নরসিংদী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজুয়ান হোসেন এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: সৈয়ছ আমিরুল ইসলাম শামীম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মৌসুমী সরকার রাখি,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি) ফাজানা আলম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোবাশে^র আলম,নরসিংদী সরকারী কলেজ সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলী,নরসিংদী সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বশির আহমেদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সহকারী প্রধান খোরশেদ আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন।

কেন পরিষ্কার হাত এখনও গুরুত্বপূর্ণ?স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিষ্কার হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশব্যাপী সকল স্তরে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও একইভাবে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশেও অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখে “বিশ্ব-হাতধোয়া দিবস-২০২৪” উদযাপিত হচ্ছে। এবছর আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব-হাতধোয়া দিবসের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য বিষ্য বা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিচ্ছন্ন হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ”। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে “অক্টোবর” মাসকে জাতীয় স্যানিটেশন মাস হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।

স্যানিটেশন ও হাতের পরিচ্ছন্নতা একে অপরের পরিপূরক। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ৬.২-এ বলা হয়েছে-“২০৩০ সালের মধ্যে সকলের জন্য পর্যাপ্ত ও সমতাভিত্তিক স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধিসম্মত জীবনরীতিতে অভিগম্যতা নিশ্চিত করা এবং নারী ও বালিকা-দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর চাহিদার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে খোলা জায়গায় মলত্যাগের অবসান ঘটানো। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় একশত ভাগ মানুষ নির্দিষ্ট জায়গায় মলত্যাগ করে। নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন বাংলাদেশ সরকারের একটি অগ্রাধিকারমূলক সেক্টর। স্যানিটেশন বিষয়ক এসডিজি বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশের অর্জন ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। একইভাবে এসডিজি-র অভীষ্ট ৬.২ তথা সকলের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ও শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর। স্যানিটেশন বিষয়ক এসডিজি (সহস্রাব্দ) উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে যা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করছে। এসডিজি-র কাক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে নিরাপদ ব্যবস্থাপনাকৃত স্যানিটেশন বা ঝবভবষু গধহধমবফ ঝধহরঃধঃরড়হ নিশ্চিত করা হচ্ছে বিধায় গতানুগতিক ধারার পরিবর্তে উন্নত, লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তির সমন্বয় সাধন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার প্রায় শূন্যের কোটায়। খোলা স্থানে মলত্যাগ বন্ধ (ওডিএফ) করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রোল মডেল এবং এ ক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল-সহ বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। এসডিজির প্রথম ৫ বছরের বাংলাদেশ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হারের ক্রমাগতভাবে শূন্যের কাছাকাছি রাখতে সক্ষম হয়েছে যা স্যানিটেশনে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও টেকসই উন্নয়নের বাস্তবিক উদাহরণ।

২০১৫ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত হাত ধোয়ার বেসিক কভারেজে অগ্রগতি সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। গত সাত বছরে বাংলাদেশে মৌলিক হাত ধোয়ার অভ্যাস অগ্রগতি (২০%), আফগানিস্থান (৬%), ভুটান (৭%), ভারত (১৪%), নেপাল (৯%) এবং পাকিস্তান (১৯%)। ২০১২-১৩ সালে (গওঈঝ) জরিপে যেখানে হাত ধোয়ার স্থানে সাবান ও পানি আছে এর পরিমাণ ছিল ৫৯.১% তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.৮% যা ২০২৫ পরিকল্পনায় ৮৫% লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রসর হচ্ছে। সরকার এরইমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক স্যানিটেশন ব্যবস্থা বা ওয়াশ-ব্লক স্থাপন করছে। বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের উদ্যাগে পর্যায়ক্রমে গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ সরকার বিদ্যালয় পর্যায়ে স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নতির জন্য কাজ করছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে স্কুল পর্যায়ে ওয়াশ ব্লক তৈরির উদ্যেগ নিয়েছে। এ পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রায় ৪০,২৯২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৮,৯৫৫ ওয়াশ ব্লক এবং প্রায় ৬৫,৫৬৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ বেসিন নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল স্কুলে ও ওয়াশ ব্লক ও পানির উৎস নিশ্চিত করা হচ্ছে। স্কুল ল্যাট্রিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় উন্নতি হয়েছে, ২০১৩ সালে যেখানে মাত্র ২৪% স্কুল ল্যাট্রিন পরিষ্কার পাওয়া গিয়েছিল সেখানে ২০১৮ সালে ৬৪% ভাগ ল্যাট্রিন পরিষ্কার দেখা গেছে। মাসিক ব্যবস্থপনা শিক্ষা প্রদান আরও বৃদ্ধি করতে হবে। মেয়েদের জন্য চলমান স্যানিটারি প্যাড, ডিসপোজাল সুবিধা-সহ আলাদা ল্যাট্রিন মাত্র ২০% স্কুলে আছে। সার্বিকভাবে স্কুলে স্যানিটেশন উন্নত করার জন্য সকলের আরও কাজ করতে হবে। (জাতীয় হাইজিন সার্ভে ২০১৮)।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে “সকলের জন্য হাতের স্বাস্থ্যবিধি” নিশ্চিতকরণে “হ্যান্ড হাইজিন ফর অল” কৌশলপত্র ২০২০-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে “লক্ষ্য অর্জনে বিবিধ কৌশলগত পরিকল্পনার উল্লেখ রয়েছে। এই কৌশলগত পরিকল্পনা অনুযায়ী-স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে পলিসি সাপোর্ট ব্রাঞ্চে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব এবং বাজেট বরাদ্দ-সহ একটি” হাইজিন সেল” গঠন করা হবে; জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রাথমিক-গণশিক্ষা-উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, চিকিৎসা শিক্ষা অনুবিভাগ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর-সহ সকল সিটি কর্পোরেশন এবং “ক” শ্রেণীভুক্ত পৌরসভায় “হাইজিন ও বিহেভিয়ার চেইঞ্জ ইউনিট” গঠন করা হবে; জাতীয় পর্যায় থেকেশুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ” ন্যাশনাল হাইজিন কাম্পেইন টাস্কফোর্স গঠন করা হবে; স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকল চলমান ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মসূচিতে এবং প্রশিক্ষণ মডিউলে” হ্যান্ড হাইজিন” অন্তর্ভুক্ত করা হবে;
জাতীয় পর্যায়ে” হ্যান্ড হাইজিন গর অল” মনিটরিং ও রিপোর্টিং সেল গঠন করা হবে; লক্ষ্য অর্জনে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র অন্তর্ভুক্তকরণে “আমার গ্রাম আমার শহর” কর্মসুচিত সাথে সমন্বিত উদ্যেগ গ্রহণ কর হবে।
সকলের জন্য হাতের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ব-হাতধোয়া দিবস-২০২৪” উদযাপিত হচ্ছে। বিশ্ব হাতধোয়া দিবসের সফল উদযাপনের মাধ্যমে হাইজিন বিষয়ক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলার সফল উদ্যেগগুলোকে সম্প্রসারণের দিকে মনযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশ” স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিচ্ছন্ন হাত সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই হাতের পরিচ্ছন্নতার সংস্কৃতি গড়ে তোলার মাধ্যমে সংক্রামক রোগের প্রকোপ কমিয়ে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন সম্ভব হবে। এ আন্দোলনে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন প্রসারের লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

নবান্ন টিভি / বশির আহম্মদ মোল্লা

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2023 nobannotv.com
Design & Development By Hostitbd.Com