আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিকা শাহিদা ইসলামকে মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে এনে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেন কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি গত ৫ আগস্ট ঢাকার ওয়ারি থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, প্রেমিকা শাহিদা ইসলাম রাফাকে হত্যার পর ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালাতে গেলে ভোলার ইলিশায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে সোমবার ভোরে গ্রেফতার করে মুন্সীগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আসামির অবস্থান সনাক্ত করা হয় বলে জানান তিনি।
এদিকে আসামির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচে পানির ভেতর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ সুপার জানায়, উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তলটি ৫ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারি থানা থেকে লুণ্ঠিত অস্ত্র।
এর আগে গত শনিবার রাতে নিহত শাহিদা ইসলাম রাফার মা জরিনা বেগম শ্রীনগর থানায় কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত শাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সাথে থাকতেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত মো. মোতালেবের মেয়ে। তারা ২ ভাই ও ৩ বোন।
প্রসঙ্গত: গত শনিবার সকালে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের দোগাছি এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।