নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক নারীকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার কুমারখালি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় অভিযুক্ত জাকারিয়া হোসেন পাশ্ববর্তী বিয়াঘাট এলাকার আমির হোসেনের ছেলে। তিনি কুমারখালি এলাকায় শ্বশুড়বাড়িতে বসবাস করে কৃষিকাজ করতেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে এক নারী কুমারখালি মাঠের একটি পুকুরে হাঁসের জন্য শামুক কুড়াতে যান। এ সময় একা পেয়ে জাকারিয়া তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জাকারিয়া ওই নারীকে জোরপূর্বক জাপটে ধরে পাশের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে ধষর্ণের চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকারিয়া তার হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে ভুক্তভোগীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগী রক্তাক্ত শরীর নিয়ে মাঠের পাশেই একটি বাড়ির উঠানে জ্ঞান হারান। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। দুই সন্তানের এখন জননী সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার গলায়, কানের নিচে, দুই হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত জাকারিয়া পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ এখনও থানায় আসেনি। তারপরও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।