নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা ইউনিয়নের মনিপুরা গ্রামের হিন্দু ২ ভাই মহনলাল সূত্রধর ও বসু সূত্রধরের সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার খোদাদিল্লা গ্রামের সাবেক মেম্বার আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার (৩০ আগস্ট) বসু সূত্রধর বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগে বলা হয়, কাশেম মেম্বারদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পৈত্তিক সম্পত্তি নিয়ে আমাদের সাথে বিরোধ চলছিলো।
দেওয়ানী মোকাদ্দমা ১৬০/১৬ উক্ত মামলটি বিজ্ঞ আদালত কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমাদের পক্ষে রায় দেয়।
কাশেম মেম্বার এর পক্ষে ১৫. ১২ জমি আদালত রায় দেয় এবং চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় লোকজনের দরবার কাসেম মেম্বার অমান্য করে জোরপুর্বক জমি দখল করেন।
এমতাবস্থায় কাশেম মেম্বার ও তার ছেলে কাজল মিয়ার নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একটি বাহিনী গত ৩০ আগস্ট ২০২৩ তারিখে সকালে
লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমাদের ভোগ দখলকৃত আদালতে রায়ে পাওয়া সম্পত্তিতে জোর পূর্বক ভাবে টিনের বেড়া দিয়া দখল করে।
তখন আমি আমার পরিবারের লোকজন কাশেম মেম্বারকে মৌখিক ভাবে নিষেধ করিলে তারা আমাদেরকে অকর্থ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে
একপর্যায়ে তারা আমাদের খুন করে লাশ গুম সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি প্রদান করে।
এক পর্যায়ে তারা আমাদের মারতে উদ্যত হলে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন দৌঁড়ে বাড়ীতে যেয়ে অবস্থান করি।
এর আগে উক্ত ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গন্যমান্য লোকজনদেরকে অবগত করে আপোষ মিমাংশার লক্ষ্যে শালিস বসলেও
কাশেম মেম্বার তার লাঠিয়াল বাহিনীর ক্ষমতার জোরে সেই দরবারও অমান্য করে প্রভাব খাটায়।
সরজমিন ঘুরে জানা গেছে,
বসু ও মহনলাল সূত্রধরের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় আর কাশেম মেম্বারের বাড়ি সদর উপজেলায়।
দুটি গ্রাম সদর উপজেলা ও রায়পুরা উপজেলার শেষ প্রান্ত হওয়ায় ২০১৬ সালে হরে কৃষ্ণ সূত্রধরের কাছ থেকে
নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালি ইউনিয়নের খোদাদিল্লা গ্রামের সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম
রায়পুরা উপজেলার হাইরমারা ইউনিয়নের মনিপুরা গ্রামের মনিপুর বাজার সংলগ্ন ১৪.২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে।
পরে আবার ২০২০ সালে তার দুই ভাই মহনলাল সূত্রধর ও বসু সূত্রধরের কাছ থেকে ৩.২০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।
তবে বসু সূত্রধরের দাবি হরে কৃষ্ণ সূত্রধর ১৩ শতাংশ জমি পাবে সে কি করে ১৪.২৫ জমি ক্রয় করে।
এমতাবস্থায় কাশেম মেম্বার জোর পূর্বক তার ক্রয়কৃত জমি থেকে অনেক বেশি জায়গা দক্ষল করে নেয়।
সেসময় অতিরিক্ত জায়গা দক্ষলে বসু সূত্রধর ও মহনলাল সূত্রধর প্রতিবাদ করলে তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে।
এদিকে কাশেম মেম্বারের দাবি সে তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি অনুযায়ী জায়গা দক্ষল করেছে।
জমি ক্রয়ের পর বসু ও মহনলাল সূত্রধর জমি বুঝিয়ে দেয় না দেওয়ায় তিনি জমি দক্ষল করেছে।
এ বাপ্যারে হাইরমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন,
কাসেম মেম্বার আদালত রায় ও স্থানীয় দরবারী অমান্য করে জোরপুর্বক ক্রয়ের চেয়ে অতিরিক্ত জমি দখল করেন।
হাইরমারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক বাবলা বলেন,আদালতের রায় এবং স্থানীয় দরবার অমান্য করছে। বসু সূত্রধর একজন নিরহ মানুষ।
Related