চট্টগ্রামে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা। নাশকতার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আটক করা হয়েছে জামায়াত-শিবিরের ৩০ নেতাকর্মীকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার নগরীর কাজির দেউড়ি মোড় এলাকায় বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওয়াসা মোড় এলাকায় ফের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ওয়াসার মোড়ে জড় হয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এতে পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এরপর ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় পুলিশ।
এ ছাড়া কাজীর দেউড়ী, ওয়াসা, জিইসির মোড়ের ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত শিবিরের অন্তত ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর ওয়াসা মোড় এলাকায় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাঈদীর গায়েবানা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল সংগঠনটির নেতা কর্মীরা।
এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এরপর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, ‘তারা সহিংসতার জন্য জড়ো হয়েছিল।
ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত শিবিরের বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে এ হামলা চালানো হয়েছে।’
নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
‘কোনোরকম পূর্ব ঘোষণা ছাড়া জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা এখানে জড়ো হতে থাকে।
পরে তারা পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সেটা প্রতিরোধ করেছি। পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে।
এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। জামায়াত শিবিরের কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।’
এ ঘটনায় কাজীর দেউড়ী, ওয়াসা, জিইসি মোড় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন